‘নিজের কাছে মহামূল্যবান দুটি বস্তু করোনা আক্রান্তদের উৎসর্গ করেছি’

করোনার সংকটের সঙ্গে লড়তে নিজের প্রথম অ্যালবামের ডেট টেপ ও ‘ঈর্ষা’ গানের কাগজটি বিক্রি করেছেন কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।
Tahsan
সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

করোনার সংকটের সঙ্গে লড়তে নিজের প্রথম অ্যালবামের ডেট টেপ ও ‘ঈর্ষা’ গানের কাগজটি বিক্রি করেছেন কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।

অনলাইন নিলামে তার প্রথম অ্যালবামের ডেট টেপ ও ‘ঈর্ষা’ গানের কাগজটি নিলামে উঠেছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। ডেট টেপ ও গান লেখার কাগজের ভিত্তি-মূল্য ধরা হয়েছিল তিন লাখ টাকা।

আমিন হাসান নামের একজন সাড়ে সাত লাখ টাকায় এই নিলাম জিতেছেন। নিলামের এই অর্থ দেওয়া হবে স্যার ফজলে হাসান আবেদ ফাউন্ডেশনে। এই টাকা দিয়ে তিন হাজার মানুষকে খাওয়াবে ব্র্যাক।

তাহসান দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনেক বলেন, ‘আমরা যখন বললাম তিন লাখ টাকা মিনিমাম, তখন অনেকে বলছিল, একটা কাগজে লেখা লিরিকের জন্য, আর একটা ছোট ক্যাসেটের জন্য মানুষ এতো টাকা দিবে কিনা। আমার মনে হচ্ছিল, যারা আমার কাজ দেখেছেন তারা এই দুটি বস্তুর মূল্য বুঝবেন।’

‘আমার কাছে মহামূল্যবান এই দুটি বস্তু থেকে আয়কৃত টাকা ভালো জায়গায় যাবে। যিনি নিলাম জিতেছেন, তাকে সামনা-সামনি ধন্যবাদ জানানোর জন্য অপেক্ষা করছি।’

তাহসান আরও বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে তারকারা তহবিল সংগ্রহে নিলামে অংশ নেন। আমাদের এখানে  তেমন পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তারকাদের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে টাকা উত্তোলনের সুযোগটা ভালো।’

‘আমরা খুবই খুশি আমাদের নক্ষত্র সাকিব আল হাসানের ব্যাট নিলামে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে যারা মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন, আমরা যেন এই ভালোবাসা ব্যবহার করে কিছু করতে পারি। আমার নিলামের বিষয়টা যখন এলো ভাবলাম, আমার কাছে কী এমন জিনিস আছে, যেটা আমি হারাতে চাই না। অনেক দিন ধরে যত্ন করে ড্রয়ারে রেখেছি। হারালে মনে হবে আমিও কিছু স্যাক্রিফাইজ করছি।’

‘তখনই মনে হলো আমার প্রথম অ্যালবাম “কথোপকথন” এর ডেট টেপ এবং ‘ঈর্ষা’ গানটি যে কাগজে লিখেছিলাম, সেই পাতাটা। আমার এই অ্যালবামের কারণে মানুষ আমাকে চিনেছে। এত ভালোবাসা দিয়েছে। সেই ভালোবাসার মহামূল্যবান বস্তু দুটি করোনা আক্রান্তদের তহবিল সংগ্রহে উৎসর্গ করেছি,’ যোগ করেন তাহসান।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago