ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে এখনই শিরোপার ঘ্রাণ পাচ্ছে বায়ার্ন
বুন্ডেসলিগায় টানা সাতবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। অপ্রতিরোধ্য দলটিকে এবার ভালোই লড়াই উপহার দিচ্ছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু জার্মান ক্লাসিকোতে পেরে উঠলো তারা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ডর্টমুন্ডের সঙ্গে পরিষ্কার ৭ পয়েন্টের ব্যবধান গড়ে নিয়েছে বায়ার্ন। ফলে আট ম্যাচ বাকি থাকতে এখনই শিরোপার ঘ্রাণ পাচ্ছে তারা। ডিফেন্ডার জশুয়া কিমিচের দেওয়া প্রথমার্ধের গোলে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে দলটি।
বুধবার ইডুনা পার্কে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
অনেক দিন থেকেই জার্মানিতে একক রাজত্ব চলছে বায়ার্নের। ঐতিহ্য ও প্রতিপত্তিতে পিছিয়ে থাকলেও বায়ার্নের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা করতে পারে ডর্টমুন্ডই। শেষ যখন চ্যাম্পিয়ন হয়নি বায়ার্ন, সে বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ডর্টমুন্ডই। টানা দুইবার। এবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে জার্মান ক্লাসিকোতে জয়টা খুব প্রয়োজন ছিল তাদের। কারণ আগেই ব্যবধানটা ছিল ৪ পয়েন্টের। এবার তা বেড়ে হলো ৭।
তবে ম্যাচের ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো ডর্টমুন্ড। হালান্ডের শট বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারের পায়ের ফাঁক গলে লক্ষ্যেই দিকেই যাচ্ছিল। কিন্তু একেবারে গোললাইন থেকে তা ফিরিয়ে দেন জেরোমি বোয়েটাং। দশম মিনিটে অবশ্য বল জালে জড়িয়েছিল ডর্টমুন্ড। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। পরের মিনিটে জশুয়া কিমিচের ক্রসে থমাস মুলার মাথা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পারলেই এগিয়ে যেতে পারতো বায়ার্নও।
২০তম মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল বায়ার্ন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের কিংসলে কোমানের কাটব্যাক থেকে সের্জি গেনব্রির নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লুকাস পিসজেক। ২৪তম মিনিটে কোমানের দূরপাল্লার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক রোমান বুরকি। ৪০তম মিনিটে লিওন গোরেটজকার দূরপাল্লার জোরালো শটও ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন এ গোলরক্ষক।
তবে ৪৩তম মিনিটে আর রক্ষা করতে পারেননি তিনি। কোমানের ব্যাক পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া কিমিচের চিপ মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাতে লাগালেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি বুরকি। ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো বায়ার্ন। তবে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক বুরকি। গোরেটজকার নেওয়া কোণাকোণি শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি। পাঁচ মিনিট পর সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। দিনের সেরা সুযোগটি হারান হালান্ড। ডি-বক্সে থরগান হ্যাজার্ডের কাছ থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার শট বোয়েটাংয়ের গায়ে লাগলে অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৭১তম মিনিটে জর্ডান সাঞ্চোর নেওয়া দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্য থাকেনি। নয় মিনিট পর মাহমুদ ডাহোদের নেওয়া দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন নয়ার। দুই মিনিট পর অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো বায়ার্ন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রবার্ত লেভানদোভস্কির শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
এরপর আরও কিছু সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। কিন্তু তা থেকে গোল না হলে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
Comments