স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

‘পরস্পর দোষারোপের খেলা বন্ধ করা দরকার’

দেশে করোনা মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ের সঙ্গে অগ্রজ ভূমিকায় কাজ করে যাওয়ার কথা। কিন্তু, দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা গেছে অনেকটা বিপরীত চিত্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যকার সমন্বয়হীনতার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে সামনে এসেছে এবং এ নিয়ে চলেছে আলোচনা-সমালোচনা। সর্বশেষ করোনা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার বিষয়টি জনসম্মুখে আসার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একে অপরকে দোষারোপ করছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দেশে করোনা মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ের সঙ্গে অগ্রজ ভূমিকায় কাজ করে যাওয়ার কথা। কিন্তু, দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেখা গেছে অনেকটা বিপরীত চিত্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যকার সমন্বয়হীনতার বিষয়টি দৃঢ়ভাবে সামনে এসেছে এবং এ নিয়ে চলেছে আলোচনা-সমালোচনা। সর্বশেষ করোনা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার বিষয়টি জনসম্মুখে আসার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একে অপরকে দোষারোপ করছে।

কিন্তু, দেশে বর্তমানে করোনার সংক্রমণের যে পরিস্থিতি, তাতে যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের মধ্যকার ‘দোষারোপের খেলা’ বন্ধ করে সমন্বয়ের সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাজ করা উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব। আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরস্পরকে দোষারোপের কারণে তৈরি পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিমওয়ার্ক হিসেবে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু, টিমওয়ার্ক হিসেবে কাজ না করে প্রথম দিক থেকেই তারা নিজেদের মধ্যে সমন্বয়টা তৈরি করতে পারে নাই। এখন আবার এটা হয়ে গেলো “দোষারোপের খেলা”। তার মানে মুখ দেখা-দেখিও বন্ধ হয়ে গেল। তাতে করে যেটা হলো, এই সমন্বয়হীনতা আমাদের দেশে করোনার ব্যবস্থাপনায় একটা রেখাপাত করেছে। অবশ্যই একটা খারাপ রেখাপাত করেছে।’

‘সে জায়গা থেকে চিন্তা করলে, তাদের মধ্যে যা কিছুই থাকুক না কেন, বর্তমান মুহূর্তে নিজেদের মধ্যে আবার সমন্বয় এনে কাজ করতে হবে। আর “দোষারোপের খেলা” বন্ধ করে যারা এর পেছনে দায়ী তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত’, বলেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হবে— স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজেদের মধ্যে সমঝোতা এনে করোনা মোকাবিলায় সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি এই সমন্বয়হীনতার জন্য যারা দায়ী, সরকারের উচিত তাদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা। আর এটা করতে ব্যর্থ হলে নতুন কাউকে দিয়ে সমন্বয়টা করাতে হবে। কিন্তু, সেক্ষেত্রেও ঝামেলা আছে। নতুন কেউ এসে পুরো পরিস্থিতি বোঝাটাও একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’

‘তাই জনসাধারণের কথা বিবেচনায় সবচেয়ে সহজ সমাধান হলো— স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরস্পরের দোষারোপের অবসান ঘটিয়ে সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করা’, যোগ করেন অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago