‘আমি মাইন্ড করলাম’ রাজীবের মুখে জনপ্রিয় হওয়া সংলাপ

চার বার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা রাজীব বেঁচে নেই ১৬ বছর। কিন্তু, ঢাকাই বাংলা সিনেমার দর্শকদের স্মৃতিতে আজও অম্লান এক নাম। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ সিনেমায় খলনায়কের অভিনয় করে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছিলেন তিনি। এই সিনেমার ‘আমি মাইন্ড করলাম’ সংলাপটা ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মধ্যে।
ওয়াসীমুল বারী রাজীব। ছবি: সংগৃহীত

চার বার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা রাজীব বেঁচে নেই ১৬ বছর। কিন্তু, ঢাকাই বাংলা সিনেমার দর্শকদের স্মৃতিতে আজও অম্লান এক নাম। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ সিনেমায় খলনায়কের অভিনয় করে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছিলেন তিনি। এই সিনেমার ‘আমি মাইন্ড করলাম’ সংলাপটা ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মধ্যে।

রাজীবের মতো এমন জনপ্রিয় খলনায়ক ঢাকাই চলচ্চিত্রে আর আসেনি। বাংলা চলচ্চিত্রে একটি গভীর শূন্যতা তৈরি হয়েছিল তার মৃত্যুতে। যা এখনো চলমান। তার পুরোনাম ওয়াসীমুল বারী রাজীব। সিনেমায় শুধু রাজীব নামেই পরিচিত ছিলেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর মারা যান এই অভিনেতা। চলচ্চিত্রে খল-অভিনেতা অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেলেও অন্য চরিত্রেও সাবলীল অভিনয় করেছেন তিনি।

রাজীব চার বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ‘হীরামতি’, ‘দাঙ্গা’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’ ও ‘সাহসী মানুষ চাই’ সিনেমার জন্য। ১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ সিনেমায় প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। পরে ১৯৮২ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘খোকন সোনা’ ও ‘দাবি’ চলচ্চিত্রেও নায়ক হিসেবে ছিলেন তিনি। এরপর আর নায়ক হিসেবে অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাকে।

রাজীব অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে— দাঙ্গা, বুকের ভেতর আগুন, ভাত দে, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে, হাঙর নদী গ্রেনেড, প্রেম পিয়াসী, সত্যের মৃত্যু নেই, ভণ্ড, উছিলা, স্বপ্নের পৃথিবী, আজকের সন্ত্রাসী, দুর্জয়, দেনমোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, জবরদখল, লুটতরাজ, মহামিলন, বাবার আদেশ, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, ডন, অনন্ত ভালোবাসা প্রভৃতি।

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন রাজীব। অভিনয় ছাড়াও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago