নারায়ণগঞ্জে তীব্র গ্যাস-সংকট
নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকায় জ্বালানি গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক বাসায় দিনের বেলায় গ্যাস না থাকলেও গভীর রাতে গ্যাসের চাপ বাড়ছে। আবার ভোরের আগে কমে যাচ্ছে চাপ। আবার কিছু বাসায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই গ্যাস থাকছে না। দিন দিন এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
গ্যাসের তীব্র সংকটের কারণে অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস ও কেরোসিনের স্টোভে রান্না করছেন। কিন্তু, এতে তাদের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে শহরের বালুরমাঠ এলাকায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘শহরের টানবাজার, পুলিশ ফাঁড়িও এর আশেপাশের এলাকায় অনেক দিন ধরে দিনের বেলা তিতাস গ্যাস সরবরাহ ঠিক মতো পাই না। রাতের বেলা কিছু গ্যাস সরবরাহ থাকত। কিছুদিন ধরে এখন রাতের বেলাও গ্যাস একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। তিতাস গ্যাস সরবরাহ না থাকলেও আমরা নিয়মিত গ্যাস বিল প্রদান করছি। গ্যাস সংকটের কারণে আমাদের রান্নার কাজ প্রায় বন্ধ। আমাদের এখন বাইরের খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। অতএব দ্রুত তিতাস গ্যাস সংকট সমাধান করে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
টানবাজার এলাকার বাসিন্দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শুধু মাত্র আমরা রাতের বেলায় গ্যাস পেয়েছি। এর মধ্যেও আমরা রাত জেগে কষ্ট করে রান্না করেছি। কিন্তু, গত দুই মাস ধরে একটুও গ্যাস পাই না। সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করতে হচ্ছে। গ্যাস না পেলেও আমরা ঠিকই বিল দিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাস যদি না দেয় তাহলে আমাদের বিল বন্ধ করে দেওয়া হোক। যেহেতু সিলিন্ডার গ্যাসে আমাদের রান্না করতে হচ্ছে তাহলে কেন আমরা আবার গ্যাসের বিল দিব।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘টানবাজার একটি ব্যবসায়িক ও আবাসিক এলাকা। এখানে কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। এতোগুলো মানুষ এ গ্যাসের সমস্যায় ভুগছে। আমরা আজ লিখিতভাবে জানিয়েছি যাতে অবিলম্বে আমাদের গ্যাসের সমস্যা সমাধান করে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন করা হবে।’
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মমিনুল হক বলেন, ‘ওই এলাকায় কি সমস্যা আছে এটা তদন্ত করে দেখা হবে। এজন্য আজই কর্মীদের পাঠানো হবে। দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে।’
Comments