ভ্যাকসিন, অ্যান্টিবডি পরীক্ষা ও গণস্বাস্থ্যের কিট

অত্যন্ত সুসংবাদ যে, ভারতের উপহার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছাচ্ছে। কিন্তু, ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাপনার শঙ্কা দূর হয়নি। বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা শুরু করা দরকার ছিল। সরকারের পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ অনেক বিশেষজ্ঞ গত কিছু মাস ধরে এ কথা বলছিলেন। তাদের যুক্তি, প্রথমত অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে বোঝা দরকার ছিল বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা কত? দ্বিতীয়ত, আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ধরন কেমন?

অত্যন্ত সুসংবাদ যে, ভারতের উপহার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছাচ্ছে। কিন্তু, ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাপনার শঙ্কা দূর হয়নি। বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা শুরু করা দরকার ছিল। সরকারের পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ অনেক বিশেষজ্ঞ গত কিছু মাস ধরে এ কথা বলছিলেন। তাদের যুক্তি, প্রথমত অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে বোঝা দরকার ছিল বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা কত? দ্বিতীয়ত, আক্রান্তদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির ধরন কেমন?

যারা কোভিড-১৯ পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হন, তাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যা তাকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করে। ভ্যাকসিনও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। একবার আক্রান্ত হয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হন কি না, এই বিতর্কের সমাধান হয়নি।

‘ব্রিটেন গত পাঁচ মাস ধরে স্বাস্থকর্মীদের নিয়ে গবেষণা করেছে। সেই গবেষণায় দেখা গেছে, একবার আক্রান্ত হলে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা  পাঁচ-ছয় মাস থাকে’, কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশি-ব্রিটিশ ডাক্তার গোলাম রাহাত খান। করোনার শুরু থেকে লন্ডনে আইসিইউতে সবচেয়ে মুমূর্ষু করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে আলোচিত ডা. রাহাত। বিবিসিসহ ব্রিটেনের মূলধারার গণমাধ্যম তার সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। সম্প্রতি নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন। নিজে এখনই ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা ভাবছেন না, উল্লেখ করে ডা. রাহাত বলছিলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে আমি এখনই ভ্যাকসিন নিতে পারি। কিন্তু, আমি ভ্যাকসিন নিচ্ছি না। কারণ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার ফলে আমার শরীরে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আমার চেয়ে যার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি তার জন্যে ভ্যাকসিনটি নেওয়া জরুরি।’

‘বাংলাদেশ সরকার যত আন্তরিকই হোক, দেশের সব মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা প্রায় অসম্ভব। আবার সব মানুষের অ্যান্টিবডি পরীক্ষাও সম্ভব না। ফলে বাংলাদেশ শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মীদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে ধারণা নিতে পারে। তারপর পেশাভিত্তিক বা এলাকাভিত্তিক অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করতে পারে। যেসব স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যদের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে, তাদের এখন ভ্যাকসিন নেওয়ার দরকার নেই। পাঁচ-ছয় মাস তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অতি মূল্যবান ভ্যাকসিন অন্যদের দেওয়া যেতে পারে’, বলছিলেন ডা. রাহাত।

‘মডার্নার ভ্যাকসিন থেকে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির স্থায়ীত্ব আট মাস। মডার্না গবেষণা করে এই তথ্য পেয়েছে। ফাইজারের ভ্যাকসিনের ফলাফল এমনই হওয়ার কথা। কারণ দুটি ভ্যাকসিন একই গোত্রের। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রয়োগ মাত্র শুরু হয়েছে। এখনো এমন গবেষণার সময় হয়নি’, বলছিলেন ব্রিটেনের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র গবেষক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম।

‘কোভিড-১৯ পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হয়ে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পাঁচ-ছয় মাস স্থায়ী হয়’, উল্লেখ করে বায়ো মেডিকেল সাইন্স গবেষক ড. আকরাম বলছিলেন, ‘গত নভেম্বরে ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষণা থেকে এই তথ্য জানা যায়। মেমরি সেল শরীরে আরও বেশি সময় থাকে কি না, তা হয়তো আরও ছয় মাস পরের গবেষণায় জানা যাবে।’

সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত ড. বিজন কুমার শীল তার পূর্ব অবস্থানে এখনো অনঢ়। তার বক্তব্য, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির শরীরে মেমরি সেল ছয় মাস থাকে, ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষণা সঠিক। ছয় মাস পরে থাকবে কি না, তা জানার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, করোনাভাইরাসের বয়স তো বেশি না। মেমরি সেল শরীরে অনেক বছর থাকে, আমি পূর্বে একথা বলেছি, এখনো বলছি সার্স ভাইরাসের অভিজ্ঞতা থেকে। সার্স ভাইরাস এবং করোনাভাইরাস একই গোত্রের এবং দুটির মধ্যে মিল ৮৩ শতাংশ। সিঙ্গাপুরে সাম্প্রতিক গবেষণায় ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির শরীরে মেমরি সেল পাওয়া গেছে। বিজ্ঞান জার্নাল নেচারে প্রকাশিত হয়েছে সেই গবেষণা প্রতিবেদন। সেই অভিজ্ঞতা এবং করোনাভাইরাসের কিট উদ্ভাবনের গবেষণা থেকে বলছি, মেমরি সেলের স্থায়ীত্ব শরীরে থেকে যাবে।’

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা অপরিহার্য বলে মনে করেন ড. বিজন। ‘আমরা যে কিট উদ্ভাবন করেছি, তা দিয়ে খুব সহজেই বাংলাদেশ অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করতে পারত। আসলে ভ্যাকসিনের বিশাল বাণিজ্যের কারণেই হয়তো অ্যান্টিবডি টেস্টের দিকে না গিয়ে ভ্যাকসিনের দিকে যাওয়া হচ্ছে। যার প্রয়োজন নেই, তার জন্যেও ভ্যাকসিনের কথা ভাবা হচ্ছে। যার শরীরে অ্যান্টিবডি আছে, তাকে ভ্যাকসিন দেওয়া গরিব দেশের জন্যে সময় ও অর্থের অপচয়।’

পৃথিবীর কোনো দেশ তার মোট জনসংখ্যার অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেনি। ব্রিটেন স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষা করেছে। ইউরোপের আরও কিছু দেশ করেছে। ভারত দিল্লিসহ কিছু এলাকায় অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেছে। আইসিডিডিআর,বি ঢাকার কিছু এলাকায় অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সেই ফল প্রকাশ করে তা আবার অস্বীকার করা হয়েছে। সেই গবেষণায় বলা হয়েছিল, ঢাকার ৪৫ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, যাদের ৮২ শতাংশের কোনো লক্ষণ ছিল না। বস্তিবাসীর ৭৪ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে ড. বিজন বলছিলেন, ‘আমার পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের বহু সংখ্যক মানুষ লক্ষণ ছাড়া কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন। তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এই শীতে বাংলাদেশে যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল না বরং কমলো, তার মূল কারণ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বলে আমার ধারণা। এ কারণে শীতে যে বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে না, ডেইলি স্টারকে পূর্বে তা বলেছিলাম।’

বাংলাদেশের সব মানুষের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, এই যুক্তি প্রসঙ্গে ড. বিজন বলছিলেন, ‘১৭ কোটি মানুষের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাংকার, এনজিওকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেনাবাহিনী, সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এভাবে ভাগ করে অবশ্যই অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা সম্ভব ছিল। বাংলাদেশের জন্যে সবচেয়ে বড় সুবিধা ছিল পৃথিবীতে সবার আগে খুব কম মূল্যের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন করেছিলাম আমরা।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ উল্লেখ করে অনুমোদন দেওয়ার সুপারিশ করেছিল বিএসএমএমইউ। কিন্তু, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন না দিয়ে কার্যকারিতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেয়। সেই অনুযায়ী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কাজ করে। নিজেরা পরীক্ষা করে কিটের কার্যকারিতা ৯৭ শতাংশে উন্নীত করে গত বছরের ২৪ জুলাই পুনরায় অনুমোদনের আবেদন করে। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এফডিএ’র ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করতে বলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। কিন্তু, এই ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী পরীক্ষার কোনো ল্যাব বাংলাদেশে ছিল না। মাস দুয়েক আগে আইসিডিডিআর,বি তাদের ল্যাবকে সেই মানে উন্নীত করেছে।

গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বলছিলেন, ‘এখন আমরা চাই দ্রুত গতিতে আইসিডিডিআর,বিতে আমাদের অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষা করা হোক। কিন্তু, কবে হবে জানি না। এখন ফাইল বিএমআরসিতে আছে।’

‘মহামারিকালে সবকিছুই হচ্ছে অত্যন্ত ঝড়ো গতিতে। শুধু আমাদের কিট অনুমোদনের গতি বাড়ছে না, বরং কমছে’, বলছিলেন ড. বিজন।

তিনি বলছিলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এত দ্রুত গতিতে অনুমোদন দেওয়া হলো পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায়। ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া অপরিহার্য ছিল। সেটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই, তুলছিও না। বোঝার সুবিধার্থে একটা তুলনামূলক আলোচনার দিকে নজর দিতে অনুরোধ করি।’

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা, আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কার্যকারিতা আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের কার্যকারিতা মেলালে মজার তথ্য পাওয়া যায়, উল্লেখ করে ড. বিজন বলছিলেন, ‘ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৬২ শতাংশ। আমাদের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের কার্যকারিতা বিএসএমএমইউর ট্রায়াল অনুযায়ী ৭০ শতাংশ, যদিও আমরা নিশ্চিত যে কার্যকারিতা ৯৭ শতাংশ। আমরা বিএসএমএমইউর হিসাব ধরেই পর্যালোচনা করতে পারি। ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দিলে ৬২ জনের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে, ৩৮ জনের হবে না। সেটা একদিনের মধ্যে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন থেকে অনুমোদন পেয়ে গেল। দ্রুত অনুমোদন দেওয়ায় আমরা খুশি।’

‘আমাদের কিট দিয়ে ১০০ জনকে পরীক্ষা করলে ৭০ জনের ক্ষেত্রে সঠিক ফল পাওয়া যাবে, বিএসএমএমইউর ট্রায়াল অনুযায়ী। ৩০ জনের ক্ষেত্রে সঠিক ফল পাওয়া যাবে না। পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত আরটি-পিসিআর পরীক্ষার কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। ৩০ শতাংশ ভুল রিপোর্ট আসে। আমাদের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা আরটি-পিসিআরে কোভিড-১৯ শনাক্তের সমান। ৬২ শতাংশ কার্যকারিতার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মাঝের সময়ের ফারাক তিন মাস হলে কার্যকারিতা ৭০-৮০ শতাংশ হতে পারে বলে বলা হচ্ছে। আমাদের কিট সঠিক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরীক্ষা করলে কার্যকারিতা ৯৭ শতাংশ পাওয়া যাবে। মাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিটে ৩৫০ টাকার মধ্যে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা সম্ভব। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ব্যাপার নেই। এতে অতি মূল্যবান ভ্যাকসিনের ওপর চাপ কমে যাবে।’

তাহলে বিষয়টি কি দাঁড়াল? প্রশ্ন করে ড. বিজন বলছিলেন, ‘আমরা যে ভ্যাকসিন দিচ্ছি, তার কার্যকারিতা ৬২ শতাংশ। পৃথিবীর সবচেয়ে স্বীকৃত আরটি-পিসিআরে কোভিড-১৯ শনাক্তের কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আমরা যে কিট উদ্ভাবন করলাম, তার কার্যকারিতা বিএসএমএমইউর ট্রায়াল অনুযায়ী ৭০ শতাংশ। অথচ আমরা অনুমোদনই পেলাম না!’

[email protected]

আরও পড়ুন:

করোনার নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হয় না বাংলাদেশের পিসিআর পরীক্ষায়

ভ্যাকসিন কবে পাব এবং অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ‘ভুল ডোজ’র আশাবাদ

মত-দ্বিমত ‘করোনাভাইরাসে দ্বিতীয়বার আক্রান্তের সম্ভাবনা নেই?’

‘সবার জন্যে ভ্যাকসিন’ স্লোগান ও বাংলাদেশের সক্ষমতা

Comments

The Daily Star  | English

Taka to trade more freely by next month

Bangladesh will introduce a crawling peg system by next month to make the exchange rate more flexible and improve the foreign currency reserves, a key prescription from the International Monetary Fund.

25m ago