কালীগঞ্জের ১৭ কেন্দ্রের ১০টিই ঝুঁকিপূর্ণ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল রবিবার। নির্বাচনে ১৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০টি কেন্দ্রই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।
তিনি আজ শনিবার জানান, কালীগঞ্জ পৌরসভায় ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৪০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ৩২১ জন ও নারী ভোটার ১৮ হাজার ৩১৯ জন। নির্বাচনে ১৭টি ভোট কেন্দ্র্রে ১২০টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে ১০টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিবলী সাদিক জানিয়েছেন, নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধের জন্য গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামের সমন্বয়ে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ১০০ সদস্যের ৫ প্লাটুন বিজিবি, ৭৫ জন র্যাব সদস্য, পুলিশ এবং আনসারের ৪৯৭ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান পৌর মেয়র ও স্বতন্ত্র্য প্রার্থী মো. লুৎফর রহমান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রবীন হোসেন, বিএনপি মনোনীত ফরিদ আহমেদ মৃধা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত মো. চাঁন মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়াও ৩টি সংরক্ষিত নারী আসনে কাউন্সিলর পদে ১০ জন ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্বতন্ত্র্য মেয়র প্রার্থী লুৎফর রহমান জানান, তার কর্মী সমর্থকেরা নির্বাচন প্রচারণাকালীন বেশ কয়েকবার হামলা, ধাওয়ার শিকার হয়েছেন। কিছু কিছু এলাকায় তার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের অভিযুক্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনার কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, কোনো কোনো মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন সময় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার অভিযোগ পেয়ে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে মিজানুল হক জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে।
Comments