রাষ্ট্র নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে, পা দুটো রাখছে কোথায়?
রাষ্ট্র নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে, খুব ভালো কথা। কিন্তু দাঁড়ানোর সময় পা দুটো রাখছে কোথায়? গরীবের বুকের ওপর নয় তো? এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন হাসান আজিজুল হক তার ’খনন’ গল্পে। তার প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে প্রশ্নটা আরেকবার মনে করতে হচ্ছে করোনার এই দুর্দিনে।
সেই গল্পে দেখা যায়, সত্তরের দশকে খাল খনন কর্মসূচি চলছে পেটে-ভাতে। অর্থাৎ শ্রমিকেরা কোনো মজুরি পাচ্ছেন না, সরকারি খরচে শুধু খেতে পারছেন। খাল খনন কর্মসূচি সফল হলে, খালে পানি এলে, বিস্তীর্ণ জমিতে চাষাবাদ হবে। কিন্তু যারা গায়ে খেটে খাল খনন করছেন, তাদের প্রাপ্তি সামান্যই। সেই চাষের জমিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়তো সৃষ্টি হবে।
জমির মালিকেরা, সরকারি খাই-খরচে আর ভূমিহীনদের বিনা পরিশ্রমিকে কাজে লাগিয়ে যাদের জমির জন্য সেচের ব্যবস্থা হচ্ছে, তারা কাজ করছেন না। দেখভাল করার নামে মাতব্বরি করে বেড়াচ্ছেন। তাহলে এই লোকগুলোকে বিনা পারিশ্রমিকে কেনো কাজ করানো হচ্ছে এই প্রশ্ন লেখক তুলেছেন।
গল্পে একজন জমির মালিক বলেছেন, বিনা পারিশ্রমিকে খাল খনন করে জমির উৎপাদন বাড়ানোতে অবদান রাখাটা গরীব মানুষদের অবশ্য কর্তব্য। কারণ এর মাধমে “দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে”। তাছাড়া তাদের নিজেদেরও পরবর্তীতে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। গল্পের মূল চরিত্র, যিনি পেশায় সাংবাদিক, তখন প্রশ্ন তোলেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সময় দেশ তার পা দুটো কি গরীবের বুকের উপর রাখবে?
বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ, নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। রাষ্ট্র তার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে। সেগুলোর মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হয় রাষ্ট্র কার কাছ থেকে কতটা নিচ্ছে, আর কাকে কতটা দিচ্ছে।
লকডাউনে কে ঘরে, কে বাইরে
চলমান লকডাউনে রাষ্ট্র ব্যবস্থা কাকে ঘরে রাখছে, কাকে বাইরে যেতে দিচ্ছে– এই বিষয়টা খেয়াল করার মতো। রিকশা চলতে পারছে না, সিএনজি চলতে পারছে না। অথচ অপেক্ষাকৃত উঁচু শ্রেণির লোকজনের বাহন ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারছে। রাস্তায় কোথাও কোথাও রীতিমতো জ্যাম লেগে যাচ্ছে। লঞ্চ, বাস ট্রেনের মতো বড় বাহনে একসাথে অনেক লোক চলাফেরা করে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা কঠিন হতে পারে। সুতরাং সেটা বন্ধ। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের চলাফেরার যে বাহনগুলোতে গাদাগাদি ভিড় হওয়ার সুযোগ নেই, যেমন রিকশা বা সিএনজি, সেগুলো চলতে দেয়া হচ্ছে না। অথচ অফিস খোলা, কারখানা খোলা, এমনকি বিলাসপণ্যের বিপণীবিতানও খোলা। এখানে যুক্তি কী? বড়লোকের বাহন বিমান চলার কথা নাহয় বাদই দিলাম।
ধরুন, একজন মানুষ জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যাবেন। মুভমেন্ট পাসও তিনি নিলেন। তার নিজের গাড়ি নেই। তিনি কীভাবে যাবেন?
গত সপ্তাহে একজন ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। মাঝেমধ্যেই মাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় বলে তার বাসার কাছেই থাকেন এরকম একজন সিএনজি চালকের নম্বর তার নেয়া আছে। এবার ফোন করলে সিএনজিচালক আসতে অপারগতা প্রকাশ করলেন। সিএনজি চালকের কথা, আপনার কাছে পাস থাকুক আর যাই থাকুক ফিরে আসার সময় তো আমাকে ধরবে। আপনি কি আমার সাথে ফিরবেন? তিনি জানালেন হাসপাতালে তার কতক্ষণ লাগবে জানা নেই। এই সিএনজিতে ফেরার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তখন দীর্ঘদিনের পরিচিত সিএনজি চালক আসলেন না। এই রোগী ক্যান্সারের রোগী। তাকে সেদিনই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।
মানুষ কোনো কারণেই বেরোতে পারবে না, অথবা একেবারে জীবন-মরণের সমস্যা ছাড়া বেরোতে পারবে না, এমন লকডাউন হলে অন্য কথা। কিন্তু এখন তো প্রায় সবকিছু খোলা। শুধু কিছু অফিস ’ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ভিত্তিতে কাজ করছে, আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাহলে বাকি লোকগুলো চলাফেরা করবে কীভাবে এই চিন্তা করা দরকার ছিল।
তার চেয়ে বড় কথা, ’দোকানপাট বিপণীবিতান বন্ধ থাকলে ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে’ এই বিবেচনায় সরকার যদি দোকানপাট খোলার অনুমতি দিতে পারে তাহলে ’কাজ বন্ধ হলে লোকগুলো খেতে পারবে না’ এই বিবেচনায় রিকশা বা সিএনজি চালানোর অনুমতি কেনো দেওয়া যাবে না। দোকানের উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা (মালিক ও শ্রমিক মিলে) কি রিকশাচালক, সিএনজি চালকদের সংখ্যার চেয়ে বেশি?
রাষ্ট্র এক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে কিছু মানুষকে সুযোগ দিচ্ছে, আর কিছু মানুষকে সুযোগবঞ্চিত করছে। সব নাগরিককে সমান সুযোগ না দিয়ে রাষ্ট্র এই যে ’সিলেকটিভ চয়ন’ করছে সেটা কতোটা জনবান্ধব হচ্ছে সেটা পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে।
আবার সবক্ষেত্রে কিন্তু এটা করা হচ্ছে না। সরকারের নির্মাণ কাজ চলছে, কলকারখানা খোলা। সুতরাং একটা বড় অংশ গরীব মানুষের কাজ চলছে। আশা করা যায় আয়ও চলমান আছে। লক্ষ্য করার মতো ব্যাপার হচ্ছে, যেসব ক্ষেত্রে গরীব মানুষটির কাজ বৃহৎ পুঁজির সাথে সম্পর্কিত, শুধুমাত্র সেইসব ক্ষেত্রে গরীব মানুষটির কাজ চলমান রাখার কথা ভাবা হয়েছে। যেমন- গার্মেন্টস কারখানা। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে গরীব মানুষটির কাজ একান্তভাবেই তার নিজের জন্য, বৃহৎ কোনো পুঁজির সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই, সেইসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্র তাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। সুতরাং শ্রমিকের জীবিকার চিন্তা এখানে মূল, নাকি পুঁজির সুরক্ষা (চলমানতা অর্থে) মূল সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, করোনা থেকে দেশকে বাঁচানোর দায়িত্ব কি নিম্নবিত্তের উপরেই বেশি বর্তায়? তাকে ঘরে আটকে রাখলেই সব সমাধান হয়ে যাবে? গাড়িওয়ালা লোকেরা মার্কেটে যাবে বিলাসপণ্য কিনতে আর রিকশা চালাতে না পেরে একটি লোক চাল কেনার টাকা যোগাড় করতে পারবে না– এটা কেমন কথা। আবার যেখানে অর্থনীতি সচল রাখতে তাকে দরকার, রাষ্ট্রের নিজের পায়ে দাঁড়াতে তাকে দরকার সেখানে এই বিধিনিষেধ নেই। সে কারখানায় কাজ করতে যাবে। এই যে দু’রকম করে নাগরিককে দেখা সেটা কি একটি গণপ্রজাতন্ত্রের উচিত কাজ!
বিপণীবিতান খুলে দেওয়ার পরে মুভমেন্ট পাসের কার্যকারিতা আছে বলে তো মনে হয় না। সরকার বিপণীবিতান খোলার অনুমতি দিয়েছে। মানে সেখানে ক্রেতাকে যাওয়ার অনুমতিও দিয়েছে। মুভমেন্ট পাসের মূল ব্যাপার ছিল মানুষের ঘরের বাইরে যাওয়াটা কতোটা জরুরি সেটা যাচাই করে তাকে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া। কিন্তু আপনি যদি নগরীর বড় বড় বিপণীবিতানে যেতে পারেন, যেখানে জরুরি প্রযোজনের পণ্য বিক্রি হয় না, বিক্রি হয় বিলাস পণ্য, তাহলে ঘরের বাইরে যাওয়া কতোটা জরুরি এই প্রশ্নের তো আর কোনো অবকাশ থাকে না। তাছাড়া ইন্টারনেটভিত্তিক এই ব্যবস্থা সব মানুষের জন্য সমান সহায়ক হয়নি সেটা তো বলাই বাহুল্য। সমাজের দরিদ্র মানুষেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে মুভমেন্ট পাস নিতে পারছেন এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
দুঃসময়ে ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমার সুবিধা কে নেবে
করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জীবনের সব ক্ষেত্রে। অর্থনীতিতে তো বটেই। এরই মধ্যে কয়েকমাস আগে বাংলাদেশে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমিয়ে এক ডিজিটে, অর্থাৎ দশ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছে। যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তাদের মাসিক কিস্তি কমেছে। ভালো খবর।
কিন্তু খারাপ খবরটা হচ্ছে, এরই সাথে অবধারিতভাবেই মানুষের আমানতের উপর সুদের হারও কমেছে। সুতরাং ব্যাংকে বা সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়ের উপর মানুষ এখন আগের চেয়ে কম মুনাফা পাচ্ছে।
আমানতের সুদ বা মুনাফা পাওয়ার উপরে সাধারণ সময়েই অনেকের সংসার চালানো নির্ভর করে। এই করোনাকালীন সময়ে আমানতের উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা আরো বেড়েছে। এই সময়ে যারা চাকরি-বাকরি হারিয়েছেন, ব্যবসা ঠিকমত চলছে না, তাদের ফিরে যেতেই হচ্ছে তাদের সঞ্চয়ের কাছে। সঞ্চয়ের উপর এই যে নির্ভরশীলতা সেটা প্রথমত আমানতের উপর পাওয়া সুদের বা মুনাফার উপর নির্ভরশীলতা। ধরুন, একজন মানুষ আগে তার ২০ লাখ টাকা সঞ্চয়ের উপর ১২ শতাংশ হারে মাসে ২০,০০০ টাকা মুনাফা পেতেন। এখন হয়তো ৮ শতাংশ সুদহারে তিনি পাচ্ছেন ১৩,৩৩৩ টাকা। সুতরাং এই দুঃসময়ে তার সঞ্চয়ের উপর আয় কমেছে এক তৃতীয়াংশ। সুদের হার নামিয়ে আনাটা সেই মানুষগুলোর জন্য একটি অভিশাপের মতো হয়ে এসেছে। বিশেষত যেখানে মুল্যস্ফীতি প্রায় লাগামহীন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট বলছে, গত বারো মাসে মূল্যস্ফীতির গড় হার ৫ দশশিক ৬ শতাংশের আশেপাশে। বাজারে গেলে অবশ্য মনে হয়, সেটা আরো অনেক বেশি।
খুব সাদা চোখে আমরা যখন দেখি যে সুদের হার কমিয়ে আনা হয়েছে, সেটা ভালোই লাগে। মানুষ প্রয়োজনে ঋণ নেবে, সুদ কম দিতে হবে। ভালোই তো। কিন্তু একই সাথে এই প্রশ্নটিও করা জরুরি, সুদের হার কমার সুবিধাটা কে নিতে পারছেন।
সুদের হার কমার সুবিধা মূলত নিতে পারছেন অপেক্ষাকৃত ধনী মানুষেরা। এখন মানুষের হাতে আয় কম থাকায় বিভিন্ন প্রপার্টির দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষত জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট এ ধরনের প্রোপার্টি। এখন হয়তো কিছু মানুষ তার বিভিন্ন সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করবেন। যার আয়ে করোনা এখনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি এবং যিনি ঋণের কিস্তি দেয়ার মতো যথেষ্ট আয় করছেন, তিনি ব্যাংক থেকে স্বল্পসুদে ঋণ নিয়ে বিপদগ্রস্ত মানুষের সেইসব প্রোপার্টি অল্প দামে কিনবেন এবং পরবর্তীতে অনেক বেশি লাভে সেটা বিক্রি করতে পারবেন। তার লাভের অঙ্ক বাড়বে।
আর লাভ হবে রাষ্ট্রের। কারণ, রাষ্ট্র বিভিন্ন বন্ড বিক্রির মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে যে ঋণ নেয়, সেটার জন্য জনগণকে তার কম সুদ দিতে হবে। সুতরাং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ঋণ সংক্রান্ত ব্যয় কমবে।
কিন্তু যার নিয়মিত আয় বেশ কমেছে বা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে তার কি সুদহার কমায় কোনো লাভ হবে? সহজ উত্তর হচ্ছে, না। কারণ, তিনি ঋণ নিতেই পারবেন না। ঋণ নিয়ে পরের মাস থেকেই কিস্তি দেয়ার সংস্থান তো তার নেই।
এ প্রসঙ্গে জার্মানির একটি কোম্পানির বিক্রি হওয়ার ঘটনা বলা যেতে পারে। জার্মানির কাটলারি ও কফি মেকার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডাব্লুএমএফকে ২০১২ সালে নিউ ইয়র্কের ইকুইটি ফার্ম কেকেআর কিনে নেয় ৬৬০ মিলিয়ন ইউরো মূল্যে। যেখানে ১০০ মিলিয়ন ইউরো তাদের নিজস্ব সম্পদ এবং ৫৬০ মিলিয়ন ইউরো হচ্ছে অতি অল্প সুদে নেয়া ঋণ। চার বছর পরে তারা ফরাসি কোম্পানি এসইবির কাছে সেটিকে বিক্রি করে দেয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরোতে। অর্থাৎ, ঋণশোধের পরে তাদের হাতে থাকে ৯৪০ মিলিয়ন ইউরো। তার মানে, তাদের নিজস্ব বিনিয়োগের উপর ৮০০ শতাংশ লাভ। একটি দেশের সুদের হার কম হলে বিত্তবান বিনিয়োগকারীরা সম্পদকে আট গুণ করার এই সুবিধা নিয়ে থাকেন। (হাউ দি রিচ আর গেটিং রিচার – মানি ইন দি ওয়ার্ল্ড ইকোনমি/ ডয়েচে ভেলে ডকুমেন্টারি)
বাংলাদেশে তো শুধু এই ব্যাপার নয়। খুব ধনী লোকজনকে ঋণ যত সল্পসুদেই দেয়া হোক, সেগুলো ফেরত পাওয়া অত সহজ নয়। বাংলাদেশে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষেরা ক্ষদ্রঋণ নেন। প্রতিজন ঋণগ্রহীতার ঋণের পরিমান এক লাখ টাকার অনেক নিচে। তারা খুব কমক্ষেত্রেই খেলাপি হন। কিন্তু শত শত বা হাজার হাজার কোটি টাকা যারা ঋণ নেন তাদের একটা বড় অংশই ঋণখেলাপি হন।
তাহলে রাষ্ট্র কেনো এমন সিদ্ধান্ত নেয়? সেই পুরোনো যুক্তি তো আছেই। কম সুদে ঋণ পেলে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়বে। নতুন নতুন শিল্প হবে। সেখানে মানুষ কাজ করার সুযোগ পাবে। এসবের মধ্যদিয়ে লাভের একটা অংশ চুইয়ে নিচের দিকে পড়বে। আর নিচের মানুষেরা তার থেকে কিছুটা ভাগ পাবে। হাসান আজিজুল হকের ‘খনন’ গল্পের শ্রমিকদের মতো।
রাষ্ট্র তার নাগরিকের ভালোমন্দের খেয়াল রাখবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার গৃহীত নীতির মধ্য দিয়ে। নীতি-কাঠামোয় পরিবর্তন নাগরিকের উন্নতিতে স্থায়ী অবদান রাখতে পারে। রাষ্ট্রের নীতি প্রণয়নে সংখ্যাগরিষ্ঠ গরীব মানুষের প্রয়োজন অগ্রাধিকার পাক।
তাপস বড়ুয়া, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)
Comments