ঈদে ঘরমুখো নিম্নআয়ের মানুষের শেষ ভরসা ট্রাক

ঈদে ঘরমুখো মানুষের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে ট্রাক। মাইক্রোবাস ও পিকআপে ভাড়া অত্যাধিক বেশি হওয়ায় স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ট্রাকে চেপেই বাড়ি ফিরছেন অনেকে।
প্রতি ট্রাকে উঠছেন ৩৫ থেকে ৪০ জন, মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। ছবি: স্টার

ঈদে ঘরমুখো মানুষের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে ট্রাক। মাইক্রোবাস ও পিকআপে ভাড়া অত্যাধিক বেশি হওয়ায় স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ট্রাকে চেপেই বাড়ি ফিরছেন অনেকে।

বিভিন্ন কলকারখানা ও অফিসে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় রাস্তায় গাড়ির চেয়ে মানুষের সংখ্যাই বেশি।

সরেজমিনে আমিন বাজার এলাকায় দেখা যায়, রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন হাজারো মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকেই পোশাক শ্রমিক, গৃহকর্মী কিংবা কলকারখানায় কাজ করা নিম্নআয়ের মানুষ।

অধিকাংশই যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।

বগুড়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা হওয়া বংশাল এলাকার একটি জুতা কারখানার শ্রমিক সবুজ মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে বেচাকেনা ভালো না। আয় অনেক কম হয়েছে। মাইক্রোবাসে আড়াই হাজার টাকার মতো ভাড়া চায়। এত টাকা দেওয়া সম্ভব না। তাই ট্রাকে করেই বাড়ি যাচ্ছি।’ 

সাধারণ সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মালামাল নিয়ে যেতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়া পাওয়া যায়। আর এখন মানুষ নিয়ে পাচ্ছেন প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। ছবি: স্টার

রাস্তায় পুলিশ নামিয়ে দিলে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মানবিক বিষয়টাও পুলিশের বিবেচনা করা উচিত। তবুও যদি নামিয়ে দেয় তাহলে রাস্তায় ঈদ না করে উপায় থাকবে না।’

ট্রাকে প্রতিজনের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। প্রতি ট্রাকে উঠছেন ৩৫ থেকে ৪০ জন, মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।

আমিনবাজার ও এর আশেপাশের এলাকায় সিএনজি, অটোরিকশাসহ অন্যান্য পরিবহনেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সাধারণ সময়ের চেয়ে তিন থেকে চার গুন বেশি।

আমিনবাজার এলাকার ট্রাকচালক মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘লকডাউনের কারণে আয় না থাকায় খুব খারাপ দিন পার করতে হচ্ছে। ট্রাকগুলো অনেক দিন ধরে পড়ে ছিল। ঈদের সুযোগে যদি কিছুটা আয় হয়, এজন্যই ট্রাকে করে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি জানান, সাধারণ সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মালামাল নিয়ে যেতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়া পাওয়া যায়। আর এখন মানুষ নিয়ে পাচ্ছেন প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।

ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে পরিবার পরিজন ছেড়ে ঈদ করতে হবে। তাই ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

13h ago