সাইফুদ্দিনের ব্যাটিং দ্যুতির পর ওল্ড ডিওএইচএসের অস্বাভাবিক অ্যাপ্রোচ
![Mohammad Saifuddin Mohammad Saifuddin](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/_f756324.jpg?itok=cmfn4x5G×tamp=1622720023)
রান আসছিল না, উইকেটও পড়ছিল টপাটপ। চরম বিপদে পড়া আবাহনী লিমিটেডকে খাদের কিনার থেকে বাঁচালেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নেমে খেললেন ঝড়ো ইনিংস। পরে বল হাতেও তাকে পাওয়া গেল সেরা ছন্দে। তবে আবাহনীকে নাগালে পেয়েও রান তাড়ায় অস্বাভাবিক মন্থর অ্যাপ্রোচে ব্যাট করে ম্যাচ হারল ওল্ড ডিওএইচএস।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সাইফুদ্দিনের জ্বলে উঠার দিনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অনায়াসে জিতেছে আবাহনী। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে আবাহনী করেছিল ১৩৫ রান। বৃষ্টি বাধায় ১৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৯ বলে ৪০ করেন সাইফুদ্দিন। ওই রান তাড়ায় গিয়ে মন্থর গতিতে এগিয়ে কূল কিনারা করতে পারেনি আনকোরা তরুণদের নিয়ে গড়া ওল্ড ডিওএইচএস। পুরো ১৯ ওভার ব্যাট করেও তারা তুলতে পারে ৩ উইকেটে ১১৩ রান। ডি/এল মেথডে ম্যাচ হেরেছে ২২ রানে। ডিওএইচএসের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়ে ৪ ওভার বল করে ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সাইফুদ্দিন।
১৩৬ রানের লক্ষ্যে নেমে নবম ওভার পর্যন্ত উদ্বোধনী জুটি টিকেছিল। কিন্তু রান আসছিল ধীর গতিতে। প্রথম ৮ ওভারে মাত্র ৩৬ রান করেন দুই ওপেনার। দলের ৫৩ রানে ২৭ বল খুইয়ে ২০ রান করে আউট হন আনিসুল ইসলাম ইমন।
আরেক ওপেনার রাকিন আহমেদও থিতু হতে নিয়েছেন, থিতু হয়েও ডট বল পুষিয়ে দেওয়া হয়নি তার। দারুণ কিছু শটে ৪০ পেরিয়েছেন। তবে বলও খেলেছেন ৪৪টি, তার ৪৩ রানের ইনিংস থামেন সাইফুদ্দিনকে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে।
ডিওএইচএসের লাইনআপে সবচেয়ে বড় ব্যাটিং ভরসা ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া প্রথম ম্যাচে ৭৮ রানের ইনিংস খেলা যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ব্যাটসম্যান এবার পারেননি। দ্রুত রান আনার পরিস্থিতির মাঝে তিনে নেমে তিনি আউট হন ২০ বলে ১৫ রান করে। এরপর আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ থাকেনি তাদের। বাকি ব্যাটসম্যানরে কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন।
এর আগে টস হেরে আবাহনীর শুরুটা হয় চরম বাজে। চোটের কারণে এই ম্যাচেও একাদশে ছিলেন না লিটন দাস। মুনিম শাহরিয়ারকে নিয়ে তাই ইনিংস ওপেন করেন নাঈম শেখ। কিন্তু নাঈম ছিলেন আড়ষ্ট। এক ছক্কা মারলেও বাকি সময় উইকেটে হাঁসফাঁস করেছেন তিনি। মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২১ বলে ২৩ রান করে। কিছুটা সাবলীল থাকা মুনিম করেন ১৩ বলে ১৬।
রানের খোঁজে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও ছিলেন মলিন। একবার জীবন পাওয়ার পরও ক্যাচ দেন ১০ বলে ১১ রান করে।
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও করেন হতাশ। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানকে ইনসাইড আউট খেলতে গিয়ে হন বোল্ড। আবাহনী অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ৬ রান।
১২ বলে ৮ রান করে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১৩ ওভারে ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এরপরই আফিফ হোসেন-সাইফুদ্দিনের ৬১ রানের ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া জুটি। শুরুতে রান পেতে ধুঁকতে থাকা আফিফ পরে অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে ২৭ রানে। ইনিংসের শুরুতে (০ ও ৮ রানে) দুবার জীবনও পান তিনি। তবে শেষ দিকে দ্রুত রান বাড়িয়ে কাজের কাজটা করেন ওই সাইফুদ্দিনই।
Comments