উইম্বলডন: করোনায় কমছে চ্যাম্পিয়নদের টাকা, বাড়ছে সাধারণদের
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছর উইম্বলডন আয়োজনই সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গতবারই প্রথম। এবার যথা সময়েই ঐতিহ্যবাহী এ আসর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ। তবে বদলে যাচ্ছে টাকার পরিমাণ। সিঙ্গেলসে চ্যাম্পিয়নদের টাকার পরিমাণ কমছে। আর সে বাড়তি টাকা দেওয়া হবে অংশগ্রহণ করা অন্য সব সদস্যদের। এমনই এক দারুণ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ১৫৩ বছর পুরনো এ সংস্থাটি।
শীর্ষস্থানীয় টেনিস তারকাদের এমনিতেই টাকার অভাব নেই। স্পন্সরদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকেন সঙ্গে ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল খেললেও বড় অঙ্কের টাকা পান। কিন্তু ক্রমতালিকায় নিচের দিকে থাকা খেলোয়াড়দের টাকা সেই ঝনঝনানি নেই। করোনার কারণে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। সে কারণে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সবশেষ অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১৯ সালে উইম্বলডনের যে পুরস্কার মূল্য ছিল, এবার তা ৫.২ শতাংশ কমানো হয়েছে। ফলে মোট ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ বাঁচবে তাদের। বড় কোপটা পড়ছে চ্যাম্পিয়নের ওপর। দুই বছর আগে নোভাক জোকোভিচ ও সিমোনা হালেপরা যা পেয়েছেন তার থেকে তাদের পুরস্কার মূল্য কমছে প্রায় ২৮ শতাংশ। তবে যোগ্যতা অর্জন পর্বে যারা উঠবেন, তাদের সাড়ে ১৭ শতাংশ অর্থ বাড়ানো হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ও ক্রোয়েট ক্লাব বলেছে, 'আগের বছরের মতো, বিশেষকরে সফররত খেলোয়াড়দের জন্য এই বছরটাও চ্যালেঞ্জিং। তাই টুর্নামেন্টের শুরুর দিকের রাউন্ডগুলোতে যাতে খেলোয়াড়দের আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করা যায়, সেটাই এ বার আমাদের মূল উদ্দেশ্য।'
মানসিক অবসাদগ্রস্ত খেলোয়াড়দের সংবাদ সম্মেলনে না আসার ব্যাপার নিয়েও ভাবছে উইম্বলডন। এ নিয়ে আলোচনাও করছে তারা। কিছু দিন ফরাসি ওপেনে নানা কাণ্ডের পর বাধ্য হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন জাপানী তারকা নাওমি ওসাকা।
উল্লেখ্য, ২৮ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এবারের উইম্বলডন।
Comments