চীন

করোনার উৎস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুসন্ধানের আহ্বান চীনা বিশেষজ্ঞের

করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন এক চীনা মহামারি বিশেষজ্ঞ।
করোনাভাইরাস
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন এক চীনা মহামারি বিশেষজ্ঞ।

রয়টার্স জানায়, এই সপ্তাহে ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস ফর হেলথ (এনআইএইচ) প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ রিপোর্ট করার কয়েক সপ্তাহ আগেই দেশটির পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে অন্তত সাত জন সার্স-কোভ-২ এ সংক্রমিত হয়েছিল।

চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান রোগত্বত্তবিদ জেং গুয়াং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমসকে জানান, এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রাদুর্ভাবের প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা চালায়নি। দেশটিতেও অনেক জৈব পরীক্ষাগার আছে।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যে সব জৈব অস্ত্র সম্পর্কিত বিষয় রয়েছে, সেসব নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।’

আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওই সমীক্ষার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানান, এখন এটা নিশ্চিত যে, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের একাধিক উৎস থাকতে পারে এবং অন্যান্য দেশের উচিত বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করা।

করোনা মহামারির পর এর উৎস নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। এর কেন্দ্রবিন্দুতে আছে উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি। উহানেই ২০১৯ সালের শেষদিকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তা ছাড়া, ওই ল্যাবে কোন ধরনের ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা হতো এবং সংক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় তথ্য প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা ঘিরে চীনের বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়ে।

এ মাসের শুরুর দিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাতীয় গবেষণাগারের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, উহান ল্যাব থেকেই ভাইরাসটি ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।

গত মার্চ মাসে প্রকাশিত চীন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সম্ভবত চীনের বন্যপ্রাণী ব্যবসাক্ষেত্র থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ভাইরাসটি বাদুড় থেকে অন্য একটি প্রজাতির মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে।

তবে বেইজিংয়ের দাবি, কোভিড-১৯ দূষিত হিমায়িত খাবারের মাধ্যমে বিদেশ থেকে চীনে প্রবেশ করেছে।

অপর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের আগেই ইউরোপে সারস-কোভ-২ ছড়িয়ে থাকতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অর্থ এই নয় যে ভাইরাসটির উদ্ভব চীনে হয়নি। বিশেষত চীনের বন্যপ্রাণীর মধ্যে অনেক সারস জাতীয় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond Dollar: Bangladesh to seek over 36b yuan in Chinese loans

Bangladesh is going to seek more than 36 billion yuan, equivalent to $5 billion, as soft loans from China to reduce pressure on its dollar reserves.

8h ago