রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে না ফেরা পর্যন্ত সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশসহ কোনো দেশের শরণার্থী বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ করেনি বিশ্বব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান এবং তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে প্রশ্নোত্তর আকারে বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতি এ কথা বলা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে:
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের অবস্থান কী?
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোকাবিলায় তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সহায়তা করছে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর রোহিঙ্গাদের প্রভাব কমাতে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আসার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে কতটুকু সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে?
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, নিরাপত্তা বেষ্টনী, পানি ও স্যানিটেশন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক রাস্তা, রাস্তার সৌর বিদ্যুৎসহ মৌলিক অবকাঠামো এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা সমাধানে ৫৯০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কক্সবাজারের চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার বুঝতে গবেষণা ও বিশ্লেষণ করছে বিশ্বব্যাংক।
৫৯০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা, অনুদান না ঋণ?
সম্পূর্ণ ৫৯০ মিলিয়ন ডলার হলো অনুদান। এটি কোনো ঋণ নয়।
শরণার্থী নীতি পর্যালোচনার কারণ কী?
শরণার্থী এবং তাদের জায়গা দেওয়া দেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের কার্যকারিতা ও প্রভাব মূল্যায়নের জন্য শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
বাস্তুচ্যুত মানুষকে জায়গা দিয়েছে এমন বিশ্বব্যাংকের ১৪টি সদস্য দেশে এই পর্যালোচনা করা হয়েছে।
শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা কীভাবে করা হয়েছে?
শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা কাঠামো অনুসরণ করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এই পর্যালোচনাটি করেছেন। ইউএনএইচসিআর বিদ্যমান নীতি, অনুশীলন ও কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা করে রোহিঙ্গা জনসংখ্যার বিষয়ে বাংলাদেশকে কোনো সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়েছে?
না, পর্যালোচনায় কোনো দেশের জন্য নির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়নি।
Comments