সকালে মেয়ে আইসিইউতে, বিকেলে মাঝনদীতে মায়ের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেলিনা আক্তার (৩৫) সকালে ভর্তি হন আইসিইউতে। আর, বিকেলে তার করোনা আক্রান্ত মা আয়শা আক্তারকে (৬০) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মাঝনদীতে মারা যান। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে।
আয়েশা আক্তার সন্দ্বীপের বাউড়িয়া ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন।
আয়েশা আক্তারের আত্মীয় আবদুর রহমান তারেক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত রোববার করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে সেলিনাকে স্থানীয় আনন্দ পাঠশালায় নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে তার করোনা শনাক্ত হয়। সেখান থেকে ওষুধ দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিতে বললে, আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।'
'পরে সোমবার রাতে সেলিনার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আমরা তাকে আজ ভোরে চট্টগ্রামে নিয়ে আসি ও সিএমএইচের আইসিইউতে ভর্তি করি,' বলেন তিনি।
তারেক বলেন, 'আমার চাচী আগে থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তার অবস্থার অবনতি হলে, আমরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে পরীক্ষা করিয়ে তার করোনা শনাক্ত হয় বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসক। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য চাচীকে চট্টগ্রামে নিয়ে যেতে বলে। পরে, আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি এবং বাড়িতে তাকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন দিচ্ছিলাম।'
'পরে, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চাচীকে স্পিডবোটে করে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হই। স্পিডবোট কুমিরা ঘাটে পৌঁছানোর আগেই মাঝনদীতে তিনি মারা যান তিনি। পরে, সেখান থেকেই তাকে আবার সন্দ্বীপে নিয়ে আসা হয়,' বলেন আবদুর রহমান তারেক।
তিনি জানান, আয়েশা আক্তারের চার সদস্যের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যেও করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার ১৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৯৯৪ জন।
Comments