বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি ধাক্কার ‘ভুয়া ছবি’ ফেসবুকে ভাইরাল

পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় একটি ভুয়া ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এরকম ছবি ব্যবহার করে অপপ্রচার চালালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ।
এডিট করা এই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় একটি ভুয়া ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। এরকম ছবি ব্যবহার করে অপপ্রচার চালালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার বিকাল ৪টায় পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের এ তথ্য দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

ভাইরাল ছবিতে দেখা গেছে, একটি পিলারের পাইল ক্যাপ অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যাচ্ছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এ ছবিটি ব্যবহার করে নানা মন্তব্য লিখছেন। গতকাল সকালে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে কাকলী ফেরির ধাক্কার পর এ ছবিটি ভাইরাল হয়।

ফটো এডিটিং সফটওয়্যার কিংবা অ্যাপস ব্যবহার করে এডিট করে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এসব গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে সেতু কর্তৃপক্ষ আরও কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ ছবিটি আসলে ভুয়া। এ ছবি ব্যবহার করে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সেতু কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ফেরির ধাক্কার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্যে বলা হচ্ছে।'

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে চার বার ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। গত ২০ জুলাই সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথের রো রো ফেরি শাহ মখদুমের তলা ফুটো হয়ে যায়। ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি 'শাহ জালাল' পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে।

এরপর ৯ আগস্ট মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটগামী রো রো ফেরি 'বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের' ধাক্কায় পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৩ আগস্ট মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটগামী ছোট ফেরি কাকলী পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Where lives get 're-rolled' into misery

Workers compelled to work in unsafe conditions with low wages

34m ago