‘পেন্সিলে আঁকা পরী’র অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন অমিতাভ রেজা

‘আয়নাবাজি’ পরিচালনা করে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।
অমিতাভ রেজা চৌধুরী। ছবি: স্টার

'আয়নাবাজি' পরিচালনা করে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

আলোচিত এই নির্মাতা ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য সরকারি অনুদান চেয়ে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ'র 'পেন্সিলে আঁকা পরী'র পাণ্ডুলিপি জমা দিয়েছিলেন। সিনেমাটির জন্য অনুদানও পেয়েছিলেন তিনি।

অমিতাভ রেজা চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হুমায়ুন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি সিনেমাটি বানাচ্ছি না। অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছি।'

তিনি আরও বলেন, 'গত ৬-৭ বছর ধরে "পেন্সিলে আঁকা পরী" সিনেমার চিত্রনাট্য ও গল্প নিয়ে কাজ করছিলাম। কয়েকটি শর্তের কারণে এই সিনেমা নির্মাণ থেকে আমাকে সরে আসতে হলো। এটা আমার জন্য খুবই বেদনার।'

'এটি তো জনগণের ট্যাক্সের টাকা— এ টাকা যেন নষ্ট না হয় সেই বিবেচনা থেকেই তা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,' যোগ করেন অমিতাভ রেজা।

হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর তার সাহিত্যসহ সব সৃষ্টির দেখাশোনার জন্য ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা এই বোর্ডের সদস্য।

'পেন্সিলে আঁকা পরী' সিনেমাটি সরকারি অনুদান পাওয়ার পর আবার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয় ট্রাস্টি বোর্ডে। সেখানে নতুন করে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়।

অমিতাভ রেজা বলেন, 'হুমায়ুন আহমেদ স্যারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে বলছি— আমি একবারের জন্যেও শর্তগুলোর বিরুদ্ধে বলছি না। আমি যা বলছি তা হলো—শর্তগুলো মেনে এই সিনেমা বানানো সম্ভব নয়।'

তিনি জানান, অনুদানের টাকা ফেরত দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নেওয়ার আগে অনুদান কমিটির সঙ্গে বসেছিলেন। কমিটির সদস্যরা তাকে টাকা ফেরত না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু, তিনি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন না বলে তাদের জানিয়ে দিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Abnormally high-priced purchases by Power Grid Company of Bangladesh

Goods worth Tk 16k imported at Tk 2.63 crore

State-run Power Grid Company of Bangladesh Ltd (PGCBL) imported 68 kilograms of tower bolts, nuts and washers from India for a whopping $2,39,695 or Tk 2.63 crore, which is 1,619 times the contract value.

10h ago