ডেন্টাল ও বিডিএসে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ‘অ-আদিবাসী’ শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের দাবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে (বিডিএস) ভর্তির জন্য নির্ধারিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ‘অ-আদিবাসী’ শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের ২১ নাগরিক।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে (বিডিএস) ভর্তির জন্য নির্ধারিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় 'অ-আদিবাসী' শিক্ষার্থীদের ভর্তি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের ২১ নাগরিক।

আজ শনিবার সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদের পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় আবারো অ-আদিবাসীরা নির্বাচিত হয়েছে জানিয়ে তারা কীভাবে স্থান পায়, তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তারা।

এতে বলা হয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিডিএস (ডেন্টাল) কোর্সে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ভর্তির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিডিএস কোর্সে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫টি আসন সংরক্ষিত। এই ৫টি আসনের মধ্যে পার্বত্য এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৩টি এবং অন্য নৃগোষ্ঠীদের জন্য ২টি আসনে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার কথা। পার্বত্য এলাকার ৩ আসনে সঠিক নিয়মেই শিক্ষার্থী মনোনীত হলেও অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য সংরক্ষিত ২ আসনে (কোড-৭৭) মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বাঙালি শিক্ষার্থীদের।

এই ভর্তি পরীক্ষায় সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মধ্যে ১৫ জন কৃতকার্য হলেও তাদের কাউকেই ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়নি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। কৃতকার্যদের মধ্যে ৫ জন সাঁওতাল, ৪ জন গারো, ৩ জন মণিপুরী, ২ জন ওরাঁও এবং একজন হাজং জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী।

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৭৭ কোডে নির্ধারিত ২ জন শিক্ষার্থীর জায়গায় 'অ-আদিবাসী' শিক্ষার্থী নির্বাচিত করা হয়েছে।

নাগরিকেরা অবিলম্বে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নির্বাচিত করে তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানান। তারা বলেন, এই কোটায় শুধুমাত্র তাদেরকেই নির্বাচন করতে হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের কোটায় নির্বাচিত 'অ-আদিবাসী' শিক্ষার্থীদের ফলাফল বাতিল করে সেসব আসনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া জরুরি।

বিবৃতিতে সই করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, মানবাধিকার কর্মী  খুশী কবির, উন্নয়ন কর্মী রোকেয়া কবির, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এস.এম.এ সবুর, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হাসেম,  বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপয়ন খীসা, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি কর্মী এ কে আজাদ, অলক দাস গুপ্ত, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিভূতী ভূষণ মাহাতো, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল) এর সভাপতি গৌতম শীল।

Comments

The Daily Star  | English
Workers rights vs corporate profits

How some actors gambled with workers’ rights to save corporate profits

The CSDDD is the result of years of campaigning by a large coalition of civil society groups who managed to shift the narrative around corporate abuse.

11h ago