জাপানে প্রধানমন্ত্রীর দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে ফুমিও কিশিদা

ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। আগামী মাসে ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বে নির্বাচনী লড়াইয়েও তাকে দেখা যাবে না।
জাপান প্রেস ক্লাব আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারো কোনো, ফুমিও কিশিদা, সানায়ে তাকাইচি ও সেইকো নোদা। ছবি: রয়টার্স

ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। আগামী মাসে ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বে নির্বাচনী লড়াইয়েও তাকে দেখা যাবে না।

কে হবেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সুগার সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ফুমিও কিশিদাকে বর্তমানে সামনের সারিতে দেখা হচ্ছে।

আগামী ৪ অক্টোবর ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছেন।

তারা হচ্ছেন, আবে প্রশাসনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (৬৪), বর্তমানে ভ্যাক্সিন প্রদান সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তারো কোনো (৫৮), নারী প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক আভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি (৬০) ও ক্ষমতাসীন দলের নির্বাহী ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সেইকো নোদা (৬১)।

জিজিপ্রেস পরিচালিত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফুমিও কিশিদা দলের আইনপ্রণেতাদের সমর্থনে এগিয়ে আছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তারো কোনোর নাম শোনা যাচ্ছে। জরিপে তৃতীয় অবস্থানে আছেন সানায়ে তাকাইচি।

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সেইকো নোদা জরিপের ফলাফলে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন। এলডিপি আইন প্রণেতাদের সরাসরি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জরিপটি পরিচালনা করা হয় ।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শীর্ষ ২ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ড নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ফুমিও কিশিদা

হিরোশিমাতে একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া ফুমিও কিশিদা জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তার দাদা মাসাকি কিশিদা ও পিতা ফুমিতোকে কিশিদা উভয়ই সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিইচি মিয়াযাওয়া ছিলেন তার আত্মীয় ।

কিশিদা ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ওকিনাওয়া বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমে আবে মন্ত্রিসভায় এবং পরে ফুকুদা মন্ত্রিসভায়। পরবর্তীতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইয়াসুও ফুকুদার মন্ত্রিসভায় তিনি ভোক্তা বিষয়ক ও খাদ্য সুরক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত হোন এবং পরে মন্ত্রিসভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দায়িত্বে ছিলেন।

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন ফুমিও কিশিদা ।

তারো কোনো

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা তারো কোনো পররাষ্ট্র ও প্রশাসনিক সংস্কারবিষয়ক মন্ত্রী এবং তার আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তারো কোনো যুদ্ধবিরোধী নেতা হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিরোধের ক্ষেত্রে আবের নেয়া সিদ্ধান্তের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন তারো কোনো ।

Comments

The Daily Star  | English

Women MPs in reserved seats: How empowered are they really?

Fifty-two years ago, a provision was included in the constitution to reserve seats for women in parliament for a greater representation of women in the legislative body.

9h ago