বন্যপ্রাণী

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ঠাঁই পেল আর্জেন্টিনার সেই ‘পাটাগোনিয়ান মারা’

সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া সাতটি আর্জেন্টিনার প্রাণী ‘পাটাগোনিয়ান মারার’ মধ্যে জীবিত থাকা দুটির ঠাঁই হয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। 
ছবি: স্টার

সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া সাতটি আর্জেন্টিনার প্রাণী 'পাটাগোনিয়ান মারার' মধ্যে জীবিত থাকা দুটির ঠাঁই হয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। 

আজ বুধবার সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে দুটি পাটাগোনিয়ান মারা সাফারি পার্কের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'

তিনি আরও জানান, গত ৩ মার্চ সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে সাতটি পাটাগোনিয়ান মারা পাচারের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেগুলো উদ্ধার করে। এরপর প্রায় পাঁচ মাস তাদের সংরক্ষণে রাখা হয়। এ সময় একটি মারা যায়। পরে গত ২২ আগস্ট এ প্রাণীগুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন বিজিবি। তখন, নিশ্চিত হওয়া যায় প্রাণীগুলো আসলে আর্জেন্টিনার পাটাগোনিয়ান মারা। খরগোশ বা গিনিপিগ গোত্রের স্তন্যপায়ী প্রাণী এগুলো। 

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিজিবির কাছ থেকে আদালতের মাধ্যমে আমরা মোট ৬টি প্রাণী বুঝে পাই। পরে সেগুলো বন্যপ্রাণীগুলো উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়। গত ৩১ আগস্ট সেখানে একটি নতুন অতিথির জন্ম হয়। তবে, ৫টি প্রাণীর মৃত্যু হয়। বেঁচে থাকা দুটিকে মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়।'

পাটাগোনিয়ান মারা সাধারণত ২৭ ইঞ্চি দীর্ঘ এবং ওজনে ৮ থেকে ১৬ কেজি পর্যন্ত হয়। এরা সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

The invisible ones

Of the over 7 crore people employed in Bangladesh, 85 percent (nearly 6 crore) are vulnerable as they work in the informal sector, which lacks basic social and legal protection, and employment benefits.

11h ago