অনুমোদনের অপেক্ষায় করোনার ক্যাপসুল মলনুপিরাভির

করোনাভাইরাসের অ্যান্টিভাইরাল ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’ নিয়ে এসেছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মার্ক। ওষুধটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করেছে কোম্পানিটি। অনুমোদন পেলে এটিই হবে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় অনুমোদিত প্রথম মুখে খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ।
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের অ্যান্টিভাইরাল ক্যাপসুল 'মলনুপিরাভির' নিয়ে এসেছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মার্ক। ওষুধটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করেছে কোম্পানিটি। অনুমোদন পেলে এটিই হবে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় অনুমোদিত প্রথম মুখে খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ।

আজ রোববার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ক্যাপসুলকে মহামারির সম্ভাব্য 'গেম চেঞ্জার' হিসেবে অভিহিত করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। ক্যাপসুলটি খেলে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার পড়বে না। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আগেই ওষুধ খাওয়া শুরু করতে পারবেন তারা। এ ক্ষেত্রে কারো করোনা শনাক্ত হলে তাকে বাড়িতেই মলনুপিরাভিরের কোর্স  শুরু করতে হবে। এ কোর্সে মোট ৪০টি ক্যাপসুল থাকবে। তবে, টিকার বিকল্প নয় এ ওষুধ।  

নন প্রফিট ড্রাগস ফর নেগলেক্টেড জিজিজ ইনিশিয়েটিভের উত্তর আমেরিকার নির্বাহী পরিচালক র‍্যাচেল কোহেন বলেন,'মলনুপিরাভিরের সত্যিই গেম কিছুটা চেঞ্জ করে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।'

সংক্রামক রোগের চিকিৎসক এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় সেনানায়েকে বলেন, 'টিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তবে, মলনুপিরাভির এভাবে কাজ করে না। এটি ভাইরাসের প্রতিরূপকে ব্যাহত করে। এক অর্থে, এটি ভাইরাসের অপুষ্ট শিশুর জন্ম দেয়।'

রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভেন্ডি হলম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে ওষুধটি 'মহামারি নিয়ন্ত্রণে গভীর প্রভাব ফেলতে পারবে।'

অনুমোদন পাওয়ার আগেই এ ওষুধ সংগ্রহ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তৎপর হতে শুরু করেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অনেক দেশ করোনার টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে ধীর গতিতে কাজ করেছিল। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তারা নতুন ক্যাপসুল অনুমোদন পাওয়ার আগেই কেনার চুক্তি করার জন্য ছুটে আসছে।

ইতোমধ্যে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তত ৮টি দেশ বা অঞ্চল ক্যাপসুলটি কেনার চুক্তি করে ফেলেছে বা কেনার আলোচনায় করছে। এসব দেশের মধ্যে  নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া আছে।

তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাপসুলটি আসলেও টিকার সুরক্ষাই এখনো সেরা। এরপরও কিছু মানুষ এটিকে টিকার বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এ ছাড়া, এশিয়া যেভাবে এটি সংগ্রহের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে, তাতে গত বছর টিকা সংগ্রহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে তারা মনে করছেন। ওই সময় ধনী দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিম্ন আয়ের দেশগুলো টিকা মজুত করার অভিযোগ এনেছিল।

Comments

The Daily Star  | English
digital security act

Press freedom index: Bangladesh falls 2 spots, only Afghanistan worse in South Asia

The country was ranked 165th among 180 nations, placing it only above Afghanistan among South Asian countries

19m ago