কৃষি

বাড়ির ছাদ ও আঙিনায় ড্রাগন চাষে সফল সিরাজগঞ্জের কামরুজ্জামান

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাড়ির ছাদে ও আঙিনায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মো. কামরুজ্জামান। বাগান করার মতো আবাদি জমি ছিল না কামরুজ্জামানের। পরে ১৪ শতাংশ জমির ৪ শতাংশ জমিতে ৩ তলা বাড়ি নির্মাণের পর বাড়ির ছাদে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। এছাড়া, আঙিনার ১০ শতাংশ জমি ড্রাগন চাষের মাটি প্রস্তুত, চারা তৈরিতে ব্যবহার করেন। এখন তার বাড়ির পুরো আঙিনাতে ড্রাগন গাছ।
নিজের ড্রাগন বাগানে পরিচর্যার কাজ করছেন মো. কামরুজ্জামান। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাড়ির ছাদে ও আঙিনায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মো. কামরুজ্জামান। বাগান করার মতো আবাদি জমি ছিল না কামরুজ্জামানের। পরে ১৪ শতাংশ জমির ৪ শতাংশ জমিতে ৩ তলা বাড়ি নির্মাণের পর বাড়ির ছাদে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। এছাড়া, আঙিনার ১০ শতাংশ জমি ড্রাগন চাষের মাটি প্রস্তুত, চারা তৈরিতে ব্যবহার করেন। এখন তার বাড়ির পুরো আঙিনাতে ড্রাগন গাছ।

কামরুজ্জামানের বাড়ির ছাদে ড্রাগন বাগান। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

২ বছর আগে বাগান শুরু করলেও বর্তমানে ছাদ ও বাড়ির আঙিনা মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ড্রাগন গাছ আছে তার। ফলে, উৎপাদনের পাশাপাশি নার্সারি থেকে ড্রাগনের চারা বিক্রি করেও সফল তিনি।

কামরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কয়েক বছর আগে নাটোরের একটি ড্রাগন বাগান দেখে নিজে উদ্যোগে ড্রাগনের চাষ শুরু করি। তারও ৩-৪ বছর আগে একজনের কাছ থেকে জমি নিয়ে ড্রাগনের আবাদ শুরু করেছিলাম, কিন্তু বন্যায় বাগান নষ্ট হয়ে যাওয়ায়। তবে, আমি বসে থাকিনি।'

ছাদ ও বাড়ির আঙিনা মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ড্রাগন গাছ আছে কামরুজ্জামানের। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

তিনি আরও বলেন, 'তারপর নিজের বাড়ির আঙিনায় আবার চাষের উদ্যোগ নিই। শুরুতে পরিবার রাজি না হওয়ায় ছাদে কয়েকটি চারা লাগায়। সেগুলো বড় হয়ে ফল দিতে শুরু করে। এর পর ধীরে ধীরে বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, ঘরের বারান্দায় প্রায় ৩ হাজার ড্রাগনের চারা রোপণ করি।'

তিনি জানান, এসব গাছ থেকে প্রতিবছর প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার ফল বিক্রি করি। এছাড়া, প্রতিমাসে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করি। ড্রাগন চাষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাটি প্রস্তুত করা এবং গাছের কাটিং সম্পন্ন করা। ইউটিউব দেখে এবং বিভিন্ন বাগান ঘুরে এগুলো শিখেছি।

প্রতিবছর প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার ফল বিক্রি করেন কামরুজ্জামান। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

বেকার যুবকদের চাকরির আশায় বসে না থেকে এভাবে ড্রাগন চাষের আহ্বান জানান কামরুজ্জামান।

উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কামরুজ্জামান নিজের বাড়ির ছাদে ও বাড়ির আঙিনায় ড্রাগনের বাগান করে আর্থিকভাবে সফলতা পেয়েছে তা নয়। বরং তার এ অভিনব উদ্যোগ কৃষি উদ্যোক্তাদের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'কামরুজ্জামানের ড্রাগন বাগান স্থানীয় কৃষি অফিস নিয়মিত পরিদর্শন করছে এবং প্রয়োজন হলে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।'

  

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

6h ago