তিন সিনিয়রের অ্যাপ্রোচ নিয়ে প্রশ্ন বিসিবি সভাপতির
স্কটল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের হার কোনভাবেই মানতে পারছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দলের হারে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ আর শেষ দিকের বোলিংয়ের দায় দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে তিন সিনিয়র সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রোববার স্কটল্যান্ডের ১৪১ রান তাড়া করতে গিয়ে মন্থর ব্যাটিংয়ে তাল হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচ হারে ৬ রানে। তিনে নামা সাকিব আল আল হাসান ২৮ বলে করেন ২০ রান, প্রথম ২০ বলে ১৪ করা মুশফিকুর রহিম ৩৬ বলে করেন ৩৮। ওভারপ্রতি ১০ রান করার চাহিদায় নেমে ২২ বলে ২৩ আসে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।
সোমবার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেন বোর্ড প্রধান। ওমানের মাস্কাটে হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে, 'ওদের (স্কটল্যান্ড) সঙ্গে এভাবে হেরে যাব কখনো চিন্তাও করিনি। তবু হারা-জেতা নিয়ে আমার কথা না। টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো দল যেকোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারে। কিন্তু যে জিনিসটাতে আমি বেশি আশ্চর্য হয়েছি এবং কষ্ট পেয়েছি সেটা হচ্ছে অ্যাপ্রোচ এবং অ্যাটিচ্যুড। কোনটাই ঠিক ছিল না।'
'প্রথম ছয় ওভারে সুবিধা নিতে গেলে মারতে হবে, সেখানে উইকেট পড়বে। কিছু যায় আসে না। কিন্তু দুটো উইকেট পড়ার পর আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাট করেছে সাকিব, মুশফিক এবং রিয়াদ। প্রথম দুজন বাদই দিলাম। তিন, চার ও পাঁচ। সেখানেই তো আমরা ম্যাচ হেরে গিয়েছি। এভাবে খেলে তো আমরা ১৪০ তাড়া করতে পারব না। সবাই জানে এভাবে খেললে জিততে পারব না। আমার কাছে মনে হয় এই অ্যাপ্রোচ ওদের কাছে পাইনি। এটা একটা মূল বিষয়।'
শুরুতে দুই উইকেট পড়ার পর ব্যাটিং অর্ডারে বদল কেন আনা হলো না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, 'অ্যাপ্রোচ ভাল ছিল না। কৌশলও ভাল হয়নি। যেহেতু আর্লি তিন ওভারের মধ্যে দুট উইকেট পড়ে গেছে। তখনো পাওয়ার প্লের আড়াই তিন ওভার বাকি। সেখানে অবশ্যই ব্যাটিং অর্ডার বদলানো দরকার ছিল। কাউকে তিনে খেলাতেই হবে, কাউকে চারে খেলাতেই হবে? এটা তো পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।'
টস জিতে আগে বল করতে নেমে এক পর্যায়ে ৫৩ রানে স্কটল্যান্ডের ৬ উইকেট ফেলে দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ক্রিস গ্রিভসের ২৮ বলে ৪৫ রানে পরে ১৪০ করে ফেলে তারা। শেষ দিকের বোলিংকেও তাই ম্যাচ না জেতার পেছনে কারণ বলছেন নাজমুল।
Comments