বাংলাদেশের ব্যাটারদের মন ছোট করে রাখে উইকেট

Yasir Ali Chowdhury
ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সারা বছর অতি মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে খেলেন বাংলাদেশের  ব্যাটাররা। দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গিয়ে দেখা মেলে ভিন্ন বাস্তবতার। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে যেখানে শট খেলার চাহিদা অনেক, বাংলাদেশের ব্যাটারদের দেখা যায় জড়োসড়ো থাকতে। তরুণ ব্যাটার ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি মনে করেন, পাওয়ার হিটিংয়ে ঘাটতির ক্ষেত্রে উইকেটের কারণেই তৈরি হয় মানসিক বাধা।

এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে খেলা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ছক্কা মারতে দেখা গেছে বাংলাদেশকে। প্রায় সব ব্যাটারই বড় শট খেলতে ধুঁকেছেন।

এর বড় কারণ হিসেবে মনে করা হয় বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে খেলা দুই সিরিজ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট বানিয়ে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই আত্মতৃপ্তি এখন রীতিমতো গলার কাঁটা। সিরিজ জিতলেও রান পেতে বিস্তর ভুগেন ব্যাটাররা।

বিশ্বকাপে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র।

বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে ভালো উইকেটের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই সিরিজ সামনে রেখেই প্রস্তুতি শুরু করা ডানহাতি ব্যাটার ইয়াসির বলেন, মন্থর উইকেট তাদের শট খেলায় তৈরি করে এক ধরণের মানসিক বাধা,  'আমি শুধু মিরপুরের উইকেট বলবোনা, উইকেট অবশ্যই দায়ী। উইকেটের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মানসিক যে ব্যাপারটা, উইকেট বাজে হলে আমরা বড় শট মারার মানসিকতায় থাকি না, সাহসটা আমাদের আসে না। আমি বলবো কিছুটা দায় আছেই।'

বিশ্বকাপে টেকনিক্যাল দিকের থেকেও মানসিক বাধাটাই হয়েছে বড়। টানা কঠিন উইকেটে খেলে বড় শটের সাহসই নষ্ট হয়ে যায় ব্যাটারদের। ইয়াসিরের মতে ছক্কা মারতে যেটা সবচেয়ে জরুরী, 'সাহসটা তো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাহস না থাকলে আপনি কখনো ছয় মারতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয় এ জিনিসটা একটা ব্যাটসম্যানের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সাহস থাকতে হবে ছয় মারার জন্য।' 

Comments

The Daily Star  | English

Aid allocation to be trimmed in next budget

The plan comes as $42.85b foreign funds remained unused at start of current FY

15h ago