নির্বাচন

নৌকায় ভোট দিতে চায়নি, ভিজিডি কার্ড কেড়ে নিলেন চেয়ারম্যান

নৌকায় ভোট দিতে না চাওয়ায় দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির (ভিজিডি) কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নৌকায় ভোট দিতে না চাওয়ায় দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির (ভিজিডি) কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নে গতকাল বুধবার এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী খালেদা খাতুনের (৪৫) স্বামী আমজাদ হোসেন এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে।

খালেদা ইউনিয়নের চরাইকোল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, তিনি অসুস্থ হওয়ায় সরকার থেকে একটি ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন। বুধবার তিনি তার ভিজিডির কার্ড নিয়ে স্বামী আমজাদসহ পরিষদে চাল আনতে গেলে তার স্বামীর সঙ্গে চেয়ারম্যান নওশের আলীর বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান চাল না দিয়ে কার্ডটি কেড়ে নিয়ে খালেদাকে তাড়িয়ে দেন।

আমজাদ হোসেন বলেন, 'এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওশের নৌকার প্রার্থী। তিনি সন্দেহ করছেন আমি তার পক্ষে ভোট দেব না। তাই সে আমার স্ত্রীর নামের ভিজিডির চালের কার্ডটি চেয়ারম্যান কেড়ে নেন।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নওশের আলী বিশ্বাস স্বীকারও করেছেন।

তিনি বলেন, 'খালেদার স্বামী একটা বদমাশ তাকে ভোট দেবে না'  এটা জেনেই তিনি খালেদা খাতুনের ভিজিডি কার্ড কেড়ে নেন।

চেয়ারম্যান বলেন ইউএন তাকে তার কার্ডটি দিয়ে দিতে বলেছেন এবং তিনি খালেদাকে পরিষদে আসতে বলেছেন। কিন্তু খালেদা আসেনি।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন ফেরদৌস বলেন, এটা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ভিজিডির কার্যক্রমের কার্ড। কার্ডটি ভুক্তভোগীর নিজস্ব সম্পদ। তাতে কারো হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, এটা এখতিয়ার বর্হিভুত কাজ হয়েছে। তিনি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে ঘটনার সুরাহা করতে।

Comments

The Daily Star  | English

There is a reason why daily news has become so depressing

Isn't there any good news? Of course, there is. But good news doesn't make headlines.

7h ago