বছরের মাঝামাঝি ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী

বছরের মাঝামাঝিতে ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ফটো

বছরের মাঝামাঝিতে ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে তারিখ বলা সম্ভব না। এ বছর যেমন একেবারে নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসে হলো। আমরা আশা করছি, আমরা যেভাবে করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি তাতে আগামী বছর এত দেরি হবে না। অনেক আগেই হয়তো আমরা নিতে পারবো। বছরের প্রথম ভাগে হয়তো হবে না, মাঝামাঝিতে হতে পারে। তার আগে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, যদিও আমরা সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করেছি কিন্তু তারপরও আমরা চাই আমাদের পরীক্ষার্থীরা যতদূর সম্ভব ক্লাস করতে পারে। এসএসসি-এইচএসসি দুটিই আমরা বছরের মাঝামাঝিতে নিতে পারবো।

তিনি বলেন, যখন পরিস্থিতি খুব ভালো ছিল, ওমিক্রনের কথা শোনা যায়নি। আমরা নতুন বছরে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভেবেছিলাম। এই মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা স্থগিত আছে। আমাদের অবস্থাটা কোন দিকে যায় সেটা আমাদের দেখতে হবে। আমি আজ বিশেষভাবে আমাদের নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণে ২৩ ডিসেম্বরে আমাদের পরীক্ষা আছে, ২৩ ডিসেম্বর একটি নির্বাচনেরও তারিখ পড়েছিল। দুই জায়গায় সমন্বয় করেই তারিখগুলো ঠিক করা হয়েছিল কিন্তু কোনো কারণে হয়তো ভুল হয়েছিল। তারা সেই নির্বাচনের তারিখ পিছিয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির মাত্র আবেদন নেওয়া হচ্ছে, এটা লম্বা প্রক্রিয়া। যা বাজেট আমরা পাব তার মধ্যে দেবো। যতগুলো প্রতিষ্ঠান যারা যোগ্য বিবেচিত হবে আমরা সবগুলোকে এমপিওভুক্ত করতে চাই। কাউকে বাদ রাখতে চাই না। যদি আমরা বাজেট কম পাই, তাহলে আমরা কম টাকা দেবো। যোগ্য হওয়ার পরেও কেউ পাবে কেউ পাবে না এই বৈষম্য হওয়া ঠিক হবে না।

প্রশ্নফাঁস প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, আমরা মোটামুটি নিশ্চিত বলতে পারি যে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আসলে সুযোগ নেই। একমাত্র পরীক্ষা হলে প্রশ্ন যাওয়ার পরে যদি কেউ কিছু করে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা ধরতে পারলাম না। কিন্তু তখন প্রশ্ন বাইরে গিয়েও তো লাভ নেই। পরীক্ষার্থীর কোনো লাভ হচ্ছে না। কিন্তু কেউ গুজব ছড়ানোর জন্য কিংবা আমাদের ব্যবস্থাপনার দুর্নাম করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার  জন্য অপপ্রচার চালাতে পারে। যারাই গুজব ছড়ানো বা প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট থাকলে, তাদের মধ্যে যাদের ধরা যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে তারা বাইরের কেউ, কোনো অভিভাবক নাকি পরীক্ষার্থী সেটা দেখা হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

তিনি বলেন, আমরা অভিভাবকরা পাবলিক পরীক্ষা, এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাগুলো বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নেই। অভিভাবকরা চান, পরীক্ষার্থীদের হলে পৌঁছে দেবেন, তারপরও নিজেদের উৎকণ্ঠায় তারা পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন। তাতে সমস্যা যেটা হয়, ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মানা যায় কিন্তু বাইরে বাবা-মায়েদের স্বাস্থ্যবিধি মানানোটা খুব শক্ত হয়ে যায়। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে সেটা করাও সম্ভব না। বাইরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে বাবা-মায়েদের কিছু করা যায়। সুতরাং তাদের সচেতন হতে হবে। তারা যেন ভিড় না করেন, আশে পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকেন। যেখানেই থাকেন মাস্ক পরেন, একটু দূরত্ব বজায় রাখেন। এটুকু সবার কাছে আমরা আশা করতেই পারি।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি পরীক্ষা যেদিন শেষ হবে তার পরে ১ মাসের মধ্যে আমরা ফলাফল দেওয়ার চেষ্টা করবো। এটা আমাদের টার্গেট। সব অবস্থা যদি এখনকার মতো থাকে তাহলে আমরা পারবো। যদি করোনা পরিস্থিতি খারাপ হয় তখন আমাদের কষ্ট হবে তারপরও চেষ্টা করবো ৩০ দিনের মধ্যে দিতে। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এমন পরিস্থিতি যেন না তৈরি হয়। যদি তেমন পরিস্থিতি হয়, অবশ্যই আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হলে আমরা তা নেব।

Comments

The Daily Star  | English

Love road at Mirpur: A youthful street

Certain neighbourhoods in Dhaka have that one spot where people gather to just sit back and relax. For Mirpur, it’s the frequently discussed street referred to as “Love Road”.

2h ago