আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ছাত্রদের এবং রোববার সকাল ৮টার মধ্যে ছাত্রীদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, 'অনিবার্য কারণে কলেজের আইনশৃঙ্খলা ও হোস্টেল স্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজের আওতাধীন ছাত্র ও ছাত্রী নিবাসসমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অবস্থানরত ছাত্রদের শনিবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে রোববার সকাল ৮টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
কলেজ সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১১টা ৪৩ মিনিটে ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটকে জেলা শাখা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। রাতেই আনন্দমোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ প্রতিবাদ জানিয়ে কলেজ গেটের সামনে মানববন্ধন করে।
সূত্র আরও জানায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একটি অংশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। দুপুর একটার দিকে ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের কয়েকজন নেতা-কর্মী কলেজে প্রবেশ করলে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জেলা ছাত্রলীগের কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, মহানগর শাখার কিছু নেতা-কর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
তবে, জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নওশেল আহমেদ অনি জানান, মহানগর ছাত্রলীগের কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ ও জেলা শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা শুনেছি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, 'কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'
Comments