ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ: টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে মানিকগঞ্জের ২০ হেক্টর জমির ফসল
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা ২ দিনের বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জের ২০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী, নতুন বসতি, কয়রা, ছুটিভাটবাউর গ্রামের অনেকে সরিষাখেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকদের কেউ কেউ জমির আইল কেটে পানি বের করার চেষ্টা করছেন।
দিঘী গ্রামের কৃষক বাবলু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি আড়াই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। সরিষা গাছে ফুলও আসতে শুরু করেছে। জমিতে হালচাষ থেকে শুরু করে সরিষার দানা ও সার কেনাসহ আগাছা পরিস্কার করতে আড়াই বিঘা জমিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন বৃষ্টিতে জমি ডুবে গেছে। সরিষার গাছগুলো নুয়ে পানিতে পড়ে আছে। অধিকাংশ সরিষাগাছই মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।'
একই গ্রামের লাভলু মিয়া বলেন, 'আমি ১ বিঘা জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছিলাম। বৃষ্টিতে বীজতলা তলিয়ে গেছে।'
সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের পূর্ব ভাকুম গ্রামের জমিতে গাজর, পেঁপে, করল্লা, চিচিঙ্গা, শসা, লাউ, সিমসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করা হয়েছে। নিচু সবজিখেতে পানিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কৃষকদের অনেকেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন।
ওই গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, '২ বিঘা জমিতে পেঁপের আবাদ করেছেন। বৃষ্টির পানি খেতে জমে থাকায় পেঁপে গাছ মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।'
এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ সময়ে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সরিষা, খেসারী, আলু, পেঁয়াজসহ নানা ধরনের সবজির আবাদ করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ১ হাজার ৯৫৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা হয়েছিল। কিন্তু দুদিন পর আজ সকালে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে সূর্যের আলো জমিতে পড়ার ফলে সেই ক্ষতির আশঙ্কা কমে গেছে। কিন্তু ২০ হেক্টর জমিতে পানি জমে রয়েছে। এ কারণে এসব জমির ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে।'
Comments