কনওয়ের সেঞ্চুরির পর ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ

Shoriful Islam
ফাইল ছবি

টস জিতে বল হাতে নিয়ে দারুণ শুরু এনেছিলেন তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলাম। শরিফুল শুরুতেই এনেছিলেন উইকেট, উইকেট না পেলেও তাসকিন বারবার তৈরি করছিলেন সুযোগ। কিন্তু শুরুর ওই ঝাপ্টা সামলে উলটো দিনভর দাপট দেখাচ্ছিল নিউজিল্যান্ডই। ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকরা ছিল বড় রানের পথে। সেখান থেকে শেষ সেশনে আরও দুই উইকেট ফেলে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ।

শনিবার মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে প্রথম দিনে ৮৭.৩  ওভার খেলে  ৫  উইকেটে ২৫৮  রান করেছে স্বাগতিকরা। মাঝের সময়টায় নিউজিল্যান্ড দাপট দেখালেও দিনের শুরুটার মতো শেষটাও ভাল করে বাংলাদেশ। তাতে ম্যাচে এসেছে সমান সমান অবস্থা।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ১২২ রান করেন কনওয়ে। উইল ইয়ং করেন ৫২, হেনরি নিকোলস অপরাজিত আছেন ৩২ রানে।

পেসারদের জন্য আদর্শ কন্ডিশনে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। কিউই কন্ডিশনে সকালের দিকে পেসারদের জন্য থাকে মুভমেন্ট। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তেতে উঠেন তাসকিন-শরিফুল। বারবার ব্যাটসম্যানদের ভুগাতে থাকেন তারা। উইকেট ধরা দেয় চতুর্থ ওভারে।

দুই দিকেই মুভমেন্ট আদায় করে ভুগাতে থাকা শরিফুল কাবু করেন এই সিরিজের কিউই কাপ্তান টম ল্যাথামকে। শরিফুলের বলে উইকেটের পেছনে ল্যাথামের ক্যাচ বা দিয়ে দুর্দান্তভাবে ঝাঁপিয়ে হাতে জমান লিটন দাস।

খানিক পর কনওয়েকেও ফেরাতে পারতেন তিনি। সেটা হলে হয়ত দিনের চিত্রও ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু তার ভেতরে ঢোকা বলে কনওয়ে পরাস্ত হলেও এলবিডব্লিউ আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলেন না। রিভিউ নিয়ে দেখা গেল আম্পায়ার্স কলে অল্পের জন্য রক্ষা পান কনওয়ে।

দিনের প্রথম ঘণ্টায় ১৩ ওভারে নিউজিল্যান্ড নিতে পারে কেবল ১৫ রান। তাসকিন তার প্রথম ৫ ওভারে দেন মাত্র ১ রান। তিনি সরে যাওয়ার পর ইবাদত হোসেন এসে আর সেই চাপ রাখতে পারেননি। ফুললেন্থে বল ফেললেও বাকি দুজনের মতো কোন মুভমেন্ট আদায় করতে পারছিলেন না। তার বল খেলা তাই সহজ হয়ে যায় ব্যাটসম্যানদের।

প্রথম ঘন্টার পর তাসকিন-শরিফুলের বল থেকেও বেরুতে থাকে রান। নিউজিল্যান্ড পেয়ে যায় স্বস্তির সময়।  লাঞ্চের পর ফিরে খেলা আরও অনেক সহজ হয়ে যায় কিউইদের। কনওয়ে মেলতে থাকেন ডানা। ইয়ং দেন যোগ্য সঙ্গ। বাংলাদেশের বোলাররা আর কোন চাপই বাড়তে পারেননি।

বড় জুটির পর দ্রুত এক রানের চিন্তায় উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। অন সাইডে ঠেলে প্রান্ত বদল করতে চেয়েছিলেন ইয়ং। নাজমুল হোসেন শান্তর ক্ষিপ্র থ্রো ধরে দ্রুত স্টাম্প ভেঙ্গে দেন লিটন। ৫২ রান করা ইয়ংয়ের আউটে দ্বিতীয় উইকেটে ভাঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি।

এরপর কনওয়ের সঙ্গে যোগ দেন জীবনের শেষ টেস্ট সিরিজ খেলতে নামা অভিজ্ঞ রস টেইলর। কনওয়ে ছিলেন চোখ ধাঁধানো। ১৮৬ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক।  তৃতীয় উইকেটে ৫০ রান যোগ করার পর কাটা পড়েন টেইলর। আবারও উইকেট এনে দেন শরিফুল। ৬৪ বলে ৫ চারে ৩১ করে থিতু টেইলর কাভারে ধরা পড়েন সাদমান ইসলামের হাতে।

পাঁচে নেমে হেনরি নিকোলসও দেখান নিবেদন। তিনিও জুটি জমিয়ে তুলেন কনওয়ের সঙ্গে। নিয়মিত বোলারদের দিয়ে সাফল্য না আসায় অধিনায়ক মুমিনুল নিজে বল হাতে নেন, তাতেই মিলে ফল। মুমিনুল তাত তৃতীয় ওভারেই শিকার ধরেন কনওয়েকে।

লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা দেন দিনের সেরা ব্যাটসম্যান। এরপর বারবার তৈরি হচ্ছিল উইকেট নেওয়ার পরিস্থিতি। টম ব্ল্যান্ডেলকে নিয়ে দিন পার করার চেষ্টায় ছিলেন হেনরি নিকোলস। দিনের একদম শেষ ভাগে ব্ল্যান্ডেলকে প্লেইড অনে বোল্ড করে দেন ইবাদত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৮৭.৩ ওভারে ২৫৮/৫   (ল্যাথাম ১, ইয়ং ৫২, কনওয়ে ১২২ , টেইলর ৩১, নিকোলস ৩২* , ব্ল্যান্ডেল  ১১; তাসকিন ০/৬১, শরিফুল ২/৫৩, ইবাদত ০/৭২, মিরাজ ০/১০, শান্ত ১/৫ )

Comments

The Daily Star  | English
Rice_market

Development is not just about macroeconomic progress

Do macroeconomic concepts reflect the realities on the ground?

13h ago