হাসি থামছেই না ইবাদতের

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের আগে পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক চাপের মুখে ছিলেন ইবাদত হোসেন। এমনকি তার প্রথম ইনিংসের বোলিং নিয়েও ম্যাচের মাঝপথে হয় সমালোচনা। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেকে আমূল বদলে ফেলে নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হন এই পেসার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় ওই জয়ের পর থেকেই ইবাদতের মুখে লেগে আছে হাসি, জানালেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে বে ওভালে গত বুধবার প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারায় মুমিনুল হকের দল। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও সফরকারীদের প্রথম জয় এটা। সব সংস্করণ মিলিয়ে সেখানে খেলা আগের ৩২ ম্যাচের সবকটিতে হারের তিক্ত স্বাদ জুটেছিল বাংলাদেশের। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে পাওয়া ঐতিহাসিক জয়ে নায়ক বনে যান ইবাদত।
প্রথম ইনিংসে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম ভালো বোলিং করলেও ইবাদত ছিলেন নির্বিষ। খরুচে বোলিংয়ে ১ উইকেট নিতে দিয়েছিলেন ৭৫ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা মেলে ভিন্ন চেহারার এক ইবাদতের। টেস্টের চতুর্থ দিন বিকালে বিধ্বংসী এক স্পেলে নিউজিল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দেন তিনি, প্রস্তুত করেন বাংলাদেশের জয়ের মঞ্চ। শেষ দিন সকালেও চলে তার আগ্রাসন। সবচেয়ে বড় বাধা রস টেইলরকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে সব মিলিয়ে তিনি ৬ উইকেট শিকার করেন মাত্র ৪৬ রানে।
ওই পারফরম্যান্সের পর থেকেই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন ইবাদত। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামার আগের দিন শনিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ ডমিঙ্গো জানান, 'আমার মনে হয় না, ইবাদত গত তিন দিনে হাসি থামিয়েছে। সে একজন দারুণ মানুষ এবং আমি খুশি যে সে তার পারফরম্যান্সের জন্য পুরস্কার ও প্রশংসা পেয়েছে।'
উল্লেখ্য, দেশের বাইরে বাংলাদেশের কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এতদিন ছিল রবিউল ইসলামের দখলে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। প্রায় নয় বছর পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সেটা ভেঙে দিয়ে নতুন কীর্তি গড়েন ২৭ বছর বয়সী ইবাদত।
Comments