ইউরোপ

২ মাসে অর্ধেক ইউরোপীয় ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে পুরো ইউরোপে আবার স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্কবার্তা দিয়েছে।
রয়টার্স ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে পুরো ইউরোপে আবার স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্কবার্তা দিয়েছে।

সংস্থাটির ইউরোপ অঞ্চলের ডিরেক্টর হ্যান্স ক্লুজ এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।

ক্লুজ বলেন, '২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহে এ অঞ্চলে ৭০ লাখেরও বেশি লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সংখ্যা এর আগের দুই সপ্তাহের দ্বিগুণ।'

তিনি জানান, ইউরোপ অঞ্চলের ৫৩টি দেশের মধ্যে ৫০টিতে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপে ভ্যারিয়েন্টটি প্রভাবশালী হয়ে উঠছে।

'এই হারে চলতে থাকলে আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে এই অঞ্চলের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি লোক ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে,' যোগ করেন তিনি।

মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে টিকাদানের হার কম থাকায়, এ অঞ্চলের দেশগুলোতে এই ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি আঘাত হানবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক ক্লুজ।

এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'যে সব দেশে টিকা গ্রহণের পরিমাণ কম সেখানে এর সম্পূর্ণ প্রভাব এখনও আমরা দেখতে পাইনি। সেখানে টিকা না নেওয়াদের অবস্থা আরও গুরুতর হতে দেখব।'

ডেনমার্কের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'সেখানে গত কয়েক সপ্তাহে ওমিক্রন শনাক্তের সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বেড়েছে। সেখানে বড়দিনের সপ্তাহগুলোতে টিকা না নেওয়া  রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার টিকা নেওয়া রোগীদের তুলনায় ৬ গুণ বেশি ছিল।'

তবে ডব্লিউএইচওর ইউরোপ অঞ্চলের সিনিয়র ইমারজেন্সি অফিসার ক্যাথরিন স্মলউড অবশ্য ওমিক্রনের এমন পর্যায়ে যাওয়ার সময়কাল নির্দিষ্ট করেননি।

তিনি বলেন, 'আমরা এখনও যথেষ্ট অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। একটি ভাইরাস দ্রুত নতুন করে বিকশিত হচ্ছে এবং নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Upazila Polls: AL, BNP struggle to keep a grip on grassroots

The upazila election has exposed how neither of the two major parties, the Awami League and BNP, has full control over the grassroots leaders.

7h ago