শিক্ষক সমিতির আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আলোচনার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহিবুল আলমের নেতৃত্বে সমিতির নেতৃবৃন্দ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি সমাধানে আলোচনার প্রস্তাব দেওয় হলে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এবং উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া আর কোনো দাবি নাই জানান।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার আগে শিক্ষক সমিতির নেতারা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন উদ্দিন আহমেদের সাথে বৈঠক করেন।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছিল শিক্ষক সমিতি।
এ দিকে, গত রোববারের ঘটনায় শাবিপ্রবির অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সোমবার রাতে পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য আজ রাত ১০টায় শিক্ষার্থীদের দেওয়া আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বিকেলে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় এবং এ দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।
শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন গত রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।
রোববার দুপুরে উপাচার্যকে আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যকে মুক্ত করতে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ চালায় পুলিশ। পরে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সে রাতেই সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেন উপাচার্য। একইসঙ্গে পরদিন সোমবার দুপুরের মধ্যেই সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই রাতে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। তারপর সোমবার সকাল থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কয়েকশত শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ আন্দোলন চলছে।
Comments