টাকা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় অধ্যাপক সাঈদাকে

টাকাই কাল হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক সাঈদা গাফফারের। তার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনতাইয়ের সময় বাধা দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামি নির্মাণ শ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াজ মাখদুমের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন।
সাঈদা গাফফার। ছবি: সংগৃহীত

টাকাই কাল হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক সাঈদা গাফফারের। তার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনতাইয়ের সময় বাধা দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামি নির্মাণ শ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াজ মাখদুমের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা বলেন।

গ্রেপ্তার নির্মাণ শ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম অধ্যাপক সাঈদা গাফফারকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপির উপ-কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) জাকির হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাঈদা গাফফার (৭১) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আনোয়ারুল ইসলামকে (২৫) গত শনিবার ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তিনি আরও জানান, ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক সাঈদা গাফফার গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার দক্ষিণ পাইনশাইল এলাকার মোশাররফ হোসেন মৃধার বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। ওই বাড়িতে থেকে তিনি স্থানীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের ভেতরে নিজ প্লটে বাড়ি নির্মাণ কাজ তদারকি করতেন। গত ১১ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকা হতে নিখোঁজ হন। তার সন্ধান না পেয়ে মেয়ে সাহিদা আফরিন ১২ জানুয়ারি কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ঘটনায় অধ্যাপক সাঈদা গাফফারের নির্মাণাধীন বাড়ির রাজ মিস্ত্রীর হেলপার (সহকারী) আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাঁধা দেওয়ায় অধ্যাপক সাঈদা গাফফারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার ৩ দিন পর শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ওই ঝোপ থেকে নিহতের মরদেহ এবং স্যান্ডেল ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। নিহতের ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Lightning fatalities on the rise

Bangladesh has been witnessing a rise in casualties from lightning mainly due to drastic shifts in weather patterns.

55m ago