ক্যাম্পাস

জাবিতে শাবিপ্রবি উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ, অবাঞ্ছিত ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘কটূক্তি’র প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহসহ তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জাবিতে শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে 'কটূক্তি'র প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহসহ তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় জাবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এসময় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা শাবিপ্রবি উপাচার্যের মানসিক সুস্থতা কামনা করেন। এ ছাড়া, জাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে তাকে দ্রুত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এসময় জাবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নিগার সুলতানা বলেন, 'একজন উপাচার্য কীভাবে এ ধরনের মানহানিকর কথা বলেন, যেগুলো শুনলে মন থেকে তার প্রতি ঘৃণা চলে আসে। আমরা তার দ্রুত মানসিক সুস্থতা কামনা করি।'

অপর শিক্ষার্থী আবু সাইদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা ছিল গবেষণা, কিন্তু এখন সেখানে চিন্তার ব্যাপকতাকে সংকীর্ণ করা হচ্ছে। শিক্ষকরাও মানসিক বিকারগ্রস্তের মতো আচরণ করছেন। জাবির নারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সারাবিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে, ফিফার রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদকে তার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে।'

ছবি: স্টার

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মির্জা সোহাগ বলেন, 'যেখানে জাবির উপাচার্যই একজন নারী, সেখানে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সারাদেশের অভিভাবকদের উদ্বেগের কারণ হতে পারে।'

৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রাসেল বলেন, 'শাবিপ্রবি উপাচার্যের এমন বক্তব্য নারী শিক্ষার জন্য অবমাননাকর। তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, নয়তো আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব।'

আরেক শিক্ষার্থী সামিহা রহমান বলেন, 'শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদের সুচিকিৎসা দরকার। জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। এটা জাবির গর্ব যে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় নিরাপদে ক্যাম্পাসে বিচরণ করতে পারেন।'

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদ একটি ফোনালাপে জাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ফোনালাপের সত্যতা দ্য ডেইলি স্টার যাচাই করতে পারেনি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দীন আহমেদের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের ঢাকা অফিস ও সিলেট অফিস থেকে গত ২ দিনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

8h ago