বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গেজেটস

মেটার ক্যাম্পেইন সরকারের করোনা মোকাবিলা কার্যক্রমকে শক্তিশালী করেছে

২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মেটার মাধ্যমে অন্তত ২০০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ক্যাম্পেইন চালিয়েছে। বাংলাদেশে সরকার ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছে মেটা। কোভিড-১৯ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে মানুষকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে সহায়তা করেছে।

২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া তথ্য মেটার মাধ্যমে অন্তত ২০০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ক্যাম্পেইন চালিয়েছে। বাংলাদেশে সরকার ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছে মেটা। কোভিড-১৯ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকাদান কর্মসূচির বিষয়ে মানুষকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে সহায়তা করেছে।

গত ২ বছর ধরে মেটা বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যাম্পেইন চালিয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতেও তারা জনগণকে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষায় সহজলভ্য কোভিড-১৯ তথ্যকেন্দ্র জনগণকে http://www.corona.gov.bd ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষ সর্বশেষ সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, 'মহামারি চলাকালে মেটা বাংলাদেশিদের তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে এবং সর্বশেষ তথ্য জানতে সাহায্য করেছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যের প্রসার ঘটানো এবং দেশের মানুষকে টিকা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এর জন্য আমরা মেটাকে ধন্যবাদ জানাই।'

তিনি আরও বলেন, 'পৃথিবী আরও বেশি ডিজিটাল হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণকে নিরাপদ রাখতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।'

তথ্য খুঁজে পাওয়া এবং কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য মানুষ এখন ইন্টারনেটের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরশীল। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকার মেটা প্রযুক্তির নানা প্ল্যাটফর্মে পারসোনালাইজড অ্যাড ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনগুলোর উদ্দেশ্য হলো কোভিড-১৯ ও এর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশে ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যমে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে, যেন তারা সেখানে ফোন দিয়ে সহজেই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সহায়তা পেতে পারে।

২০২১ সালে নাগরিকদের নিকটবর্তী টিকাদান কেন্দ্র খুঁজে বের করতে সাহায্য করার জন্য ফেসবুক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ফাইন্ডার চালু করে। এর মাধ্যমে জাতীয় টিকা রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল http://www.surokkha.gov.bd এ গিয়ে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা আরও সহজ হয়। নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করতে মহামারির শুরু থেকে মেটা ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি ভুল তথ্য সরিয়েছে। বাংলাদেশিদের অনলাইনে ভুল তথ্য শনাক্ত ও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করার জন্য গত বছর একটি জনশিক্ষা কার্যক্রম http://www.fightcovidmisinfo.com চালু করে প্রতিষ্ঠানটি।

মেটার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওতে বাংলাদেশে কোভিড সংক্রান্ত প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরা হয়। এখানে দেখা যায় কীভাবে মেটার প্রযুক্তি জাতীয় টিকাদান কার্যক্রম এবং দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির ক্যাম্পেইনকে আরো শক্তিশালী করছে।

বাংলাদেশে মেটার পাবলিক পলিসি প্রধান সাবহানাজ রশিদ দিয়া বলেন, 'আমাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রচার করতে এবং একে অপরকে নিরাপদ রাখতে মেটা সবসময়ই চেষ্টা করে আসছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করে আমরা সবাইকে একত্রিত করছি, মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য কার্যক্রমে সাহায্য করছি। বাংলাদেশেও এ ধরনের পার্টনারশিপ চালিয়ে যেতে পেরে আমরা আনন্দিত।'

মেটার প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মানুষকে প্রতিনিয়ত কমিউনিটি গড়ে তুলতে এবং একে অপরকে সাহায্য করতে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। ফেসবুকের ব্লাড ডোনেশন ফিচারের মাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ নিকটবর্তী ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্তদানের সুযোগ সম্পর্কিত নোটিফিকেশন পেয়েছেন। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য হেল্পলাইনের সঙ্গে আরো সহজে যোগাযোগ করতে পারছে।

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

5h ago