ইউরোপ

ইউক্রেনে যে কোনো দিন রাশিয়ার হামলা শুরু হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

রাশিয়ার সেনারা ‘যে কোনো দিন’ ইউক্রেন হামলা করতে প্রস্তুত আছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নিজ দেশের নাগরিকদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, ক্রিমিয়ার অক্টিয়াব্রস্কোয়ে বিমান ঘাঁটিতে সেনা ও সরঞ্জাম মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার সেনারা 'যে কোনো দিন' ইউক্রেন হামলা করতে প্রস্তুত আছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নিজ দেশের নাগরিকদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

হোয়াইট হাউস শুক্রবার বলেছে, ইউক্রেনে বিমান হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হতে পারে। ফলে, অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অনেক কঠিন করে তুলবে।

মস্কো সীমান্তের কাছে এক লাখের বেশি সেনা জড়ো করা সত্ত্বেও ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা বারবার অস্বীকার করে আসছে।

ইতোমধ্যে আরও কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে আছে- যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, রুশ বাহিনী এখন 'একটি বড় ধরনের সামরিক উদ্যোগ নেওয়ার' মতো অবস্থানে আছে। আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারি না এবং ঠিক কী ঘটতে চলেছে তা আমরা জানি না। তবে, সেখানে হামলার ঝুঁকি এখন যথেষ্ট বেশি। তাই তাত্ক্ষণিকভাবে ইউক্রেন ছেড়ে আসা বিচক্ষণতা হবে।

সুলিভান আরও বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা প্রশাসন তা জানে না। তবে, ক্রেমলিন সামরিক ব্যবস্থাকে ন্যায়সঙ্গত করতে একটি অজুহাত খুঁজছে এবং বিমান হামলার মাধ্যমে তা শুরু হতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং আগামীতে কৃষ্ণ সাগরে রুশ সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, সীমান্তে রুশ সেনা বৃদ্ধি 'খুবই উদ্বেগজনক' লক্ষণ। আমরা এমন একটি অবস্থানে আছি- যখন যে কোনো সময় আক্রমণ শুরু হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক উদ্যোগে সেখানে আটকে পড়া কোনো নাগরিককে উদ্ধারে তিনি সেনা পাঠাবেন না।

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রান্সআটলান্টিক নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কলের আয়োজন করেন। সেখানে ইউক্রেন আক্রমণ করলে রাশিয়া বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে সমন্বিত উদ্যোগের বিষয়ে একমত হন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ফোর্ট ব্র্যাগ, নর্থ ক্যারোলিনা থেকে পোল্যান্ডে আরও তিন হাজার সেনা মোতায়েন করছে এবং আগামী সপ্তাহে তারা সেখানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধ করবে না, তবে মার্কিন মিত্রদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করবে।

বিবিসি জানিয়েছে, বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ উভয়ে শনিবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments