রশিদ-নবি-মুজিবদের নিয়ে বাড়তি ভাবনা নেই বাংলাদেশের

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সংস্করণ যাই হোক, বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর স্পিনার হিসেবে প্রথমেই নাম আসে রশিদ খানের নাম। প্রতিপক্ষকে একাই ধসিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে মুজিব উর রহমানের। কম যান না মোহাম্মদ নবিও। অনেক ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে তারও। আফগানিস্তানের এই তিন স্পিনার যে কোনো দলের জন্যই আতঙ্কের নাম। কিন্তু সেখানে এই তিন স্পিনারকে নিয়ে আলাদা কোনো ভাবনাই নেই বাংলাদেশের!

এখন পর্যন্ত দুই দলের আট মোকাবেলার সবগুলো ম্যাচেই খেলেছেন নবি। সেখানে পেয়েছেন ১২টি উইকেট। তবে বাংলাদেশের মাঠেই বেশি জ্বলে ওঠেন তিনি। চার ম্যাচে নিয়েছেন নয়টি উইকেট। রশিদ খান খেলেছেন ছয়টি ম্যাচ। তাতে পেয়েছেন ১০ উইকেট। বাংলাদেশের মাঠে সাত উইকেট পান তিন ম্যাচ খেলে। অন্যদিকে মুজিব এবারই প্রথম বাংলাদেশের মাঠে খেলবেন। টাইগারদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে ছয়টি উইকেট নিয়েছেন এ স্পিনার।

তবে সংস্করণটা ওয়ানডে বলেই প্রতিপক্ষ স্পিনারদের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, 'ওয়ানডেতে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সবসময়ই ভালো করেছি। তারা ভালো দল এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণ আছে তাদের। তবে এই বোলিং আক্রমণের বিপক্ষেই আমরা আগে ভালো করেছি। কাল যারা খেলবে ব্যাট হাতে সবাই ছন্দে আছে।'

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডে সংস্করণে ভালো খেলছে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষেও সবশেষ ম্যাচে সহজ জয়ই পেয়েছে টাইগাররা। আত্মবিশ্বাসটা হয়তো এ কারণেই তামিমের বেশি। এবারও এমন কিছু হবে বলেই আশাবাদী তিনি, 'আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারকে নিয়ে বেশি কথাবার্তা বলতে চাই না। যেটা বললাম- তাদের বোলিং অনেক ভালো, সম্ভবত সেরা স্পিন অ্যাটাক তাদেরই। কিন্তু এদের বিপক্ষেই আমরা অতীতে অনেক ভালো করেছি, বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে। আবার কেন করতে পারব না?'

তাই প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের নিয়েই ভাবছেন অধিনায়ক, 'প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের নিয়ে ভাবতে হবে। আপনারা তিনজনের নাম বলেছেন, কিন্তু তারা বল করবে ৫০ ওভার। বাকি যে দুইজন বল করবে তারাও ভালো। শুধু তিনজনকে নিয়ে চিন্তা করলেই হবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহজ বোলার আপনি খুব কমই পাবেন। ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ সবসময়ই থাকে। এক দল হয়ত স্পিনে ভালো, আরেক দল হয়ত পেসে। আমাদের মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে হবে।'

বাংলাদেশ ওয়ানডেতে ভালো খেললেও লড়াইটা যখনই কোনো টার্নিং উইকেটে হয় তখন প্রতিপক্ষ হিসেবে ভয়ানক হয়ে ওঠে আফগানিস্তান। অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলে। বাংলাদেশের মাঠে দুই দলের জয় সমানে সমান। চার মোকাবেলায় দুটি করে জয় দুই দলেরই। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও সমান। দুই মোকাবেলায় ১টি করে জয় পেয়েছে দুই দল। কেবল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের স্পোর্টিং উইকেটে শতভাগ জয় বাংলাদেশের। তাতেই মোট লড়াইয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দুই দলের আটবারের মোকাবেলায় ৫টি জয় বাংলাদেশের। ৩টি আফগানদের।

তবে না চাইলেও তাদের নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে তামিমদের, 'ঐ তিন স্পিনার নিয়েই আমরা শুধু ভাবছি তা না। আমাদের ওদের ১১ উইকেট তুলতে হবে, তাই ওদের ব্যাটার নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়। ৫০ ওভারে ওদের ৫-৬ বোলার বল করবে। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা জানি আমাদের ডেঞ্জার জোন কী কী হতে পারে, কোন কোন জায়গায় কীভাবে পরিকল্পনা করব। এটা নিয়ে গত ১-২ দিন ধরেই কথা বলছি। এখানে বসে আমি যত কিছুই বলে দেই না কেন, মাঠে এটা করতে না পারলে কোনো লাভ হবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

UN eyes major overhaul amid funding crisis, internal memo shows

It terms "suggestions" that would consolidate dozens of UN agencies into four primary departments: peace and security, humanitarian affairs, sustainable development, and human rights.

3h ago