সিডনিতে মাসব্যাপী ‘রমজান উৎসব’, মেতেছেন বাংলাদেশিরাও

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ব্যাংক্সটাউন-ক্যান্টারবুরি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে প্রতিবারের মত এবারও আয়োজিত হচ্ছে ‘রমজান নাইটস মার্কেট’। সিডনির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লাকেম্বাতে রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া এই ‘রমজান উৎসব’ চলবে রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত।
সিডনি। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ব্যাংক্সটাউন-ক্যান্টারবুরি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে প্রতিবারের মত এবারও আয়োজিত হচ্ছে 'রমজান নাইটস মার্কেট'। সিডনির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লাকেম্বাতে রমজানের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া এই 'রমজান উৎসব' চলবে রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত।

কাউন্সিল আশা করছে, মাসব্যাপী প্রায় ১০ লাখ লোকের আগমন ঘটবে সেখানে। এবারই প্রথমবারের মত রাজ্য সরকার এই মার্কেটকে ২৫০ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছে। গত ২ এপ্রিল রমজানের প্রথম দিন উৎসবে উপস্থিত হয়ে বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক কুরি এই অনুদান ঘোষণা করেন।

অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৈচিত্র্যময় আয়োজনগুলোর একটি রমজান নাইটস মার্কেট। গত ১২ বছর ধরে লাকেম্বাতে এই উৎসব পালিত হচ্ছে। বিকেল ৪টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হয়।

বাংলাদেশসহ এই মার্কেটে অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশের মধ্যে সিরিয়া, লেবানন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং আরও কয়েকটি মুসলিম দেশ আছে। প্রতিটি দেশ তাদের দেশীয় সেরা খাবারগুলো পরিবেশন করে থাকে। রমজান উদযাপনের অংশ হিসেবে সংস্কৃতি ও  ঐতিহ্যের এ এক বিরল অভিজ্ঞতা।

এই মার্কেটে যেমন পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি মাছ, তেমনি পাওয়া যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের উটের বার্গার, কোকো দ্বীপপুঞ্জের সাতে, বার্মিজ মুর্তবাক, ফিলিস্তিনের নাফে।

পুরো অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সিডনি শহরের লাকেম্বাতেই সব থেকে বেশি বাংলাদেশির বসবাস। লাকেম্বাকে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার 'বাংলা টাউন।' এই লাকেম্বার হ্যালডন স্ট্রিট এবং রেলওয়ে প্যারেডেই মাসব্যাপী উদযাপিত হয় রমজানের এই বিশাল উৎসব। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশিরা এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মেতে উঠেন আনন্দ-উল্লাসে।

এ বছর লাকেম্বার সব বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ইফতারসহ হরেক রকমের দেশি খাবারের আয়োজন করেছে। উপচে পড়া ভীড়ে রেস্টুরেন্টগুলো মুখরিত হয়ে উঠছে।

ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টের কর্ণধার জামাল হোসেন বলেন, 'আমরা আনন্দিত যে, আমাদের দেশীয় খাবার অন্য দেশের মানুষের কাছে উপস্থাপন করার সুযোগ পেয়েছি।'

ব্যাংক্সটাউন-ক্যান্টারবুরি সিটি কাউন্সিলের একমাত্র বাংলাদেশি কাউন্সিলর সাজেদা আক্তার সানজিদা সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন এই রমজান নাইটস মার্কেট আয়োজনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, 'এবারই প্রথম আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি এবং এবারই প্রথম এই উৎসব উদযাপনের জন্য রাজ্য সরকার আমাদের কাউন্সিলকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। কারণ এর ফলে আমরা সম্মিলিতভাবে এবারের আয়োজনকে আরও বেশি সুন্দর করতে পারব।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

7h ago