ভারত

‘চকলেট কিনতে নদী সাঁতরে’ ভারতে গিয়ে বাংলাদেশি কিশোর গ্রেপ্তার

অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়ার অভিযোগে ঈমান হোসেন নামে এক বাংলাদেশি কিশোরকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফ আরও জানিয়েছে, ঈমান হোসেন তার পছন্দের চকলেট কিনতে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খালদানদী গ্রামে।

অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়ার অভিযোগে ঈমান হোসেন নামে এক বাংলাদেশি কিশোরকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফ আরও জানিয়েছে, ঈমান হোসেন তার পছন্দের চকলেট কিনতে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খালদানদী গ্রামে।

ওই গ্রাম ঘেঁষে বয়ে যাওয়া শালদা নদী দুদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত। ঈমান সাঁতরে নদী পার হয়ে নিয়মিত ভারতের উত্তর-পূর্বঞ্চালীয় ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজালা জেলায় আসতো তার পছন্দের চকলেট কিনতে, ওই দিনই আবার ফিরে যেত। গত ১৩ এপ্রিল একইভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করার পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, জানায় বিএসএফ।

সোনামুড়া মহকুমা পুলিশ প্রশাসক (এসডিপিও) বনজ বিপ্লব দাস জানিয়েছেন, ঈমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় পুলিশ তাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ঈমান স্বীকার করেছে, চকলেট কিনতে সে ভারতে এসেছিল। তার কাছে বাংলাদেশি মুদ্রা ১০০ টাকা পাওয়া গেছে। সে কোনো অবৈধ কাজ করেনি, বৈধ কাগজ ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিপ্লব দাস আরও বলেন, অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে তোলা হবে। এখনো তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

বিএসএফ সূত্র জানিয়েছে, সোনামুড়া মহকুমা ঘেঁষা আন্তর্জাতিক সীমানা কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে বিভক্ত। কালামচৌরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কারণেও সীমানা অনেক ভাগে বিভক্ত হয়েছে। আবার ভৌগলিক কারণে অনেক জায়গা এখনো অরক্ষিত।

কালামচৌরা গ্রামের বাসিন্দা ইলিয়াস হোসেন বলেন, 'মুদি সামগ্রী কিনতে এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রায়ই বাংলাদেশ থেকে অনেকে এখানে আসেন। মানবিক কারণে সাধারণত বিএসএফ এই বিষয়গুলোতে ছাড় দেয়। তবে মানবপাচারকারী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়। আমি যতদূর জানি, ওই ছেলে চকলেট কিনতে এসেছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

6h ago