বাংলাদেশ

‘একজন সিভিল সার্ভেন্ট কীভাবে সুইমিংপুলের মালিক হয়?’

ছাত্রজীবনে যারা একসঙ্গে শ্লোগান দিয়েছেন, ধার করে চলেছেন, এমন সহকর্মীরা হাজার কোটি টাকা কোথা থেকে আয় করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সচিব মুজিবর রহমান হাওলাদার।
নদীরক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করতে নাগরিক মতামত জানতে বুধবার ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রজীবনে যারা একসঙ্গে শ্লোগান দিয়েছেন, ধার করে চলেছেন, এমন সহকর্মীরা হাজার কোটি টাকা কোথা থেকে আয় করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সচিব মুজিবর রহমান হাওলাদার।

নদীরক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করতে নাগরিক মতামত জানতে আজ বুধবার ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মুজিবর রহমান হাওলাদার বলেন, 'আমি যা বলি আই মিন ইট। আমি সত্যাশ্রয়ী। আমি সবসময় জীবনকে সেভাবে দেখেছি। ফলে রুঢ় বাস্তবতার কথা বলেছি প্রেসিডেন্টের সামনে, প্রধানমন্ত্রীর সামনে। সারাজীবন সত্য কথা বলতে গিয়ে ফাইট করেছি। আমাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তবুও আমি বেঁচে আছি। টিকে আছি।'

পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করে সাবেক এই সচিব বলেন, 'যারা আমার সঙ্গে শ্লোগান দিলো ইউনিভার্সিটি লাইফে, সেদিনও দেখেছি আমার পকেট থেকে নিয়েছে, এর ওর পকেট থেকে নিয়েছে। নীলক্ষেতে সকালবেলা নাস্তার পয়সা ছিল না অনেক সময়। এখন দেখি তারা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে।'

'কোথা থেকে হলো। আমি কারও নাম বলছি না। একজন সিভিল সার্ভেন্টের সুইমিং আছে। কীভাবে হলো? অনেক সিভিল সার্ভেন্টের নাম বলব। তারা বড় বড় পদে চাকরি করছেন। আগামীতেও করবেন,' প্রশ্ন করেন তিনি।

নিজের চাকরি জীবনের শুরুর দিকের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'তখন লোকজনের পার্সোনোলিটি ছিল অন্যরকম। আমি চাকরিতে যোগদান করে শুনিনি যে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট ঘুষ খান। আজকে আমি বলতে পারব না যে এর বিপরীত চিত্রটা কতখানি সত্য।'

'অনেকে বলে স্যার কাজ করতে চায়। কিন্তু আমাদের উপরে চেপে আছে প্রভাবশালীরা। সৎ মানুষ এখনো আছে। তারা কাজ করতে চান,' যোগ করেন তিনি।

নদীরক্ষা কমিশনের এক সদস্যের (অতিরিক্ত সচিব) নাম উল্লেখ না করে সাবেক সচিব মুজিবর রহমান বলেন, 'নদীরক্ষা কমিশনে মেম্বারশিপ নিয়েছেন। এখন সিমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করেন। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় তাকে ২ বার মেম্বার করেছে। তার পাঁচতলা বাড়ি আছে। আর আমি লালমাটিয়াতে ১২০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটে থাকি। সেখানে সহকারী কমিশনাররাও থাকে।'

Comments

The Daily Star  | English

MPs may lose duty waiver for car imports

The National Board of Revenue seeks to impose 25 percent import duty on cars for lawmakers, reversing a practice of tax exemptions that amounted to Tk 5,147 crore over the last 15 years.

9h ago