বিমানবন্দরে জঙ্গল-ঝর্ণা
আকাশপথে দীর্ঘ যাত্রায় বিরক্তি অনুভব করেনি অনেকে। কেমন হয় যদি গতানুগতিক বিমানবন্দরের পরিবেশের বদলে প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর ছোঁয়া পাওয়া যায়। আর সেখানে গিয়ে অপেক্ষার সময়টুকু যদি কেটে যায় চোখের পলকে? এমনই এক বিমানবন্দরের দেখা মিলবে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গিতে।
চাঙ্গি বিমানবন্দরের মূল আকর্ষণ হলো ডোনাট-আকৃতির একটি কাচের বিল্ডিং 'জুয়েল' যা বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ইনডোর জলপ্রপাত হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। এটিকে এইচএসবিসি রেইন ভর্টেক্স নামে অভিহিত করা হয়। ১৩০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট জলপ্রপাতটি বৃষ্টির পানিকে পুনঃআবর্তনের জন্য ব্যবহার করে এবং ছাদ থেকে ৭ তলা নিচে নেমে একটি নলাকার জলপ্রপাত তৈরি করে। পানি যখন মেঝেতে আঘাত করে তখন একটি অ্যাক্রেলিক ফানেলের মধ্য দিয়ে ঘুরে বিমানবন্দরের দুটি লেভেলে একটি ইনভার্টেড জলপ্রপাতের ধারায় পরিণত হয়।
রাতে যখন জলপ্রপাতটি ৩৬০ ডিগ্রি আলো এবং শব্দের প্রতিধ্বনি ছড়ায় তখন আরও চমৎকার স্থানে রূপান্তরিত হয় সিঙ্গাপুরের এই বিমানবন্দরটি। এ ছাড়া চাঙ্গি বিমানবন্দরের আরেকটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো শিসেইডো ফরেস্ট ভ্যালি। পাঁচ স্তরের ১০০ ফুট উঁচু মাল্টি ট্রেইল সম্বলিত এই ভ্যালিতে রয়েছে ৯০০টির অধিক গাছ এবং ৬০ হাজার প্রজাতির গুল্ম উদ্ভিদ। যেগুলো ভ্যালির কাঠামোর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং সূর্যের আলোর সঙ্গে অভিযোজন করতে সক্ষম।
ফরেস্টটির একদম উঁচুতে রয়েছে ক্যানোপি পার্ক, যেখানে দর্শনার্থীরা রেইন ভর্টেক্সের প্রতিটি প্রান্তের দৃশ্য উপভোগ করতে পারে। পার্কটিতে রয়েছে আলাদা বাগান এবং রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া সেখানে জাল দিয়ে আবৃত স্থানে হাঁটা, দোল খাওয়া এবং খেলাধুলা করার মতো পরিবেশও পাওয়া যাবে।
রিপলি'স বিলিভ ইট অর নট থেকে অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া।
Comments