জরিমানার পর বোতলের গায়ে লেখা দামে সয়াবিন তেল বিক্রি, ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন

মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার রিকাবীবাজার এলাকার শাহজালাল স্টোরে অভিযান চালিয়ে মজুদ করা ২ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে বোতলের গায়ে লেখা দামে ওই তেল বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় আগের দামে তেল কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত জেলা সদরের মুক্তারপুর ও রিকাবীবাজার এলাকায় পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
এ সময় দেখা যায়, ১ লিটারের বোতলের গায়ের দাম ১৬০ টাকা হলেও, দোকানদার তা ২০০ টাকায় বিক্রি করছিলেন। পরে অভিযান পরিচালনাকারীদের উপস্থিতিতেই আগের দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযানে ৩টি দোকান থেকে মজুদ করে রাখা মোট ২ হাজার ১০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয় এবং মিরকাদিম পৌরসভার শাহজালাল স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা, মুক্তারপুর এলাকার লক্ষ্মী স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, তেলের পাম্প এলাকার সাইদ স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আসিফ আল আজাদ বলেন, 'শাহজালাল স্টোরে গিয়ে দেখা যায় বোতলের সয়াবিন তেল বের করে ড্রামের ভেতর মজুদ করে রেখেছিল। দোকানদার দীর্ঘদিন ধরে এই তেল খোলা বিক্রি করছিল। দোকানে ৫ ও ৩ লিটারের অসংখ্য খালি বোতল পাওয়া যায়।'
তিনি জানান, 'আরও ২টি দোকানে দেখা যায় তারাও বোতল থেকে তেল বের করে ড্রামে রেখে খোলা বিক্রি করছে। ওই ২ দোকানে প্রায় ১০০ লিটার তেল এ অবস্থায় পাওয়া যায়।'
পরে নির্ধারিত দামে ওই তেল বিক্রির নির্দেশ দিলে প্রায় ২৫০ জন ক্রেতা সেখানে লাইন ধরে তেল কেনেন বলে জানান তিনি।
রিকাবীবাজার এলাকার বাসিন্দা আওলাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জরিমানার পর আগের দামে এসব সয়াবিন তেল বিক্রি করা হয়। খবর পেয়ে ১০০-১৫০ জন লাইনে দাঁড়িয়ে শাহজালাল স্টোর থেকে তেল কেনেন।
দেড় ঘণ্টার মধ্যে ওই দোকানে মজুদ করা তেল বিক্রি হয়ে যায় বলে জানান তিনি।
Comments