বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ ২০২২

শেষ পর্যন্ত আর মাঠে থাকতে পারলেন না তামিম

২১৭ বলে ১৫ চারে ১৩৩ রান করে আহত অবসর নিয়েছেন তামিম। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সেরে উঠে পরে কোন এক সময় ব্যাট করতে নামতে পারেন তিনি।
Tamim Iqbal
তামিমের সহায়তায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সেঞ্চুরির করেছিলেন সাবলীলভাবেই। সেঞ্চুরির পর অফ স্পিনার রমেশ মেন্ডিসের বলে একটি কাট শট খেলতে গিয়ে হাতের পেশিতে টান পড়ে তার। প্রচণ্ড ব্যথায় নেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সহায়তাও। এরপর কয়েকবারই নিয়েছেন বিরতি। চা-বিরতির পর আর মাঠে নামেননি তিনি।

২১৭ বলে ১৫ চারে ১৩৩ রান করে আহত অবসর নিয়েছেন তামিম। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সেরে উঠে পরে কোন এক সময় ব্যাট করতে নামতে পারেন তিনি।

তামিম না নামায় তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে লিটন দাসকে নিয়ে ক্রিজে এসেছেন মুশফিকুর রহিম।

মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেশনে ৫৮তম ওভারের ঘটনা। রমেশের একটি বল কাট করতে যান তামিম। ওই বল থেকে এক রান বের করলেও হাতের কবজি তার ঘুরে যায়। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে আসতে আসতেই পড়ে যাচ্ছিলেন। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কান দলের খেলোয়াড়রা এসে সহায়তা করেন তাকে। হাত টেনে দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে তামিমকে সারিয়ে তুলার কাজ করেন। পরে ফিজিও বায়েজিদ আহমেদ নেমে তামিমকে ফিট করার চেষ্টা চালান।

ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও এরপর মাঝেমাঝেই বসে পড়ছিলেন তিনি। হাতের পর পায়ের পেশিতেও টান অনুভূত হয় তার। চা-বিরতির মিনিট ছয়েক আগে আবার পানি পানের বিরতি নিতে হয় তাকে। দেখে মনে হচ্ছিল পেশির টানে দাঁড়িয়ে থাকাও কষ্টকর ছিল তার। 

চট্টগ্রামে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড গরম। প্রথম দিন গরমের কারণেই স্লো ওভার রেটে খেলা হয়েছে আধঘন্টা করে বেশি। তৃতীয় দিনেও আবহাওয়ার অবস্থা একইরকম। দেড়শো ওভারের বেশি ফিল্ডিং করে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরির পর তামিম এর প্রভাব টের পেলেন সবচেয়ে বেশি। 

১৬ ইনিংস পর টেস্টে দশম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া তামিম আছেন একটি অনন্য মাইলফলকের সামনেও। আর ১৯ রান করতে পারলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রান হয়ে যাবে তার। তবে তিনি কখন আবার ব্যাট করতে নামেন তার উপরও নির্ভর করে সবটা। কারণ মুশফিকও আছেন পাঁচ হাজারের পথে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২১ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকের ৫ হাজারে যেতে দরকার আর ৪৭ রান। 

Comments

The Daily Star  | English

Upazila Polls: AL, BNP struggle to keep a grip on grassroots

The upazila election has exposed how neither of the two major parties, the Awami League and BNP, has full control over the grassroots leaders.

9h ago