অপরাধ ও বিচার

দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপের ২০, স্ত্রীর ২১ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছরের ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
প্রদীপ ও তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছরের ও তার স্ত্রী চুমকি কারণকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

আজ বুধবার প্রদীপ ও তার স্ত্রীর উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ মুন্সি আব্দুল মজিদের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রদীপ। ছবি: সংগৃহীত

এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার হোসেন লাভলু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালত ৩৩টি নথি পরীক্ষা করে ও ২৪ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এছাড়া আদালত ওই দম্পতিকে ৪ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।'

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের একটি আদালত দুর্নীতি মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনকে আসামি করে অভিযোগ গঠন করে। তারও আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর দুদক ওই দম্পতিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পর আদালত তা গ্রহণ করে।

এ সময় প্রদীপ কারাগারে থাকলেও চুমকি গত ২৩ মে আদালতে আত্মসমর্পন করেন।

আদালতে চুমকি। ছবি: সংগৃহীত

প্রদীপের 'অবৈধ আয়' থেকে প্রায় ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুদকের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চুমকি ও প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের চট্টগ্রাম অফিস-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

দুদক ২০১৮ সালে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের ব্যপারে বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। ২০১৯ সালের ১২ মে প্রদীপ এই বিবরণী জমা দেন।

দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে। তার ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও এ ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

6h ago