দুটি পাস-আটটি স্পর্শ, বিবর্ণ হালান্ডের পাশে ডি ব্রুইনা-গার্দিওলা
বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটি বড় ব্যবধানে জিতলেও আর্লিং হালান্ড ধুঁকেছেন। ৭৪ মিনিট মাঠে থাকলেও তাকে বলের আশেপাশে খুঁজে পাওয়া ছিল দায়। তবে তরুণ এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারকে নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু দেখছেন না সতীর্থ কেভিন ডি ব্রুইনা। একই সুর শোনা গেছে কোচ পেপ গার্দিওলার কণ্ঠে।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বোর্নমাউথকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ম্যান সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে তারা অবস্থান করছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। প্রথমার্ধে সিটিজেনদের পক্ষে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ডি ব্রুইনা, ইল্কাই গুন্দোগান ও ফিল ফোডেন। বিরতির পর জেফারসন লারমার আত্মঘাতী গোলে বাড়ে ব্যবধান।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে ম্যান সিটির এগিয়ে যাওয়ায় বড় ভূমিকা ছিল হালান্ডের। তার পাস থেকেই গুন্দোগান ভেদ করেন নিশানা। কিন্তু এরপর মাঠে কোনো প্রভাব রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। বদলি হওয়ার আগে মাত্র দুটি সফল পাস দিতে পারেন আগের ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে জোড়া গোল করা হালান্ড। তিনি বলই স্পর্শ করতে পারেন কেবল আটবার।
বড় জয়ের পর গণমাধ্যমের কাছে বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনা অবশ্য হালান্ডের সমর্থনে কথা বলেছেন। তার মতে, আগের ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে জার্মান বুন্দেসলিগায় যেভাবে হালান্ড খেলতেন, সেটা প্রিমিয়ার লিগের চেয়ে ভিন্ন। তাই নতুন ঠিকানায় মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় লাগবে তার।
'সে (হালান্ড) খুব ভালো খেলেছে। অবশ্যই, এখানে খেলা কঠিন। আমার মনে হয় না জার্মানিতে সে খুব বেশি ম্যাচ খেলেছে যেখানে প্রতিপক্ষরা রক্ষণ এত আঁটসাঁট রাখত। তাই এটার সঙ্গে তাকে মানিয়ে নিতে হবে।'
ম্যান সিটির তারকা স্প্যানিশ কোচ গার্দিওলাও পাশে দাঁড়িয়েছেন ২২ বছর বয়সী হালান্ডের। তার দৃষ্টিতে, বোর্নমাউথ ভীষণ রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নিয়েছিল। আর তাতে জমাট থাকার কারণে হালান্ডকে খুঁজে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল তার সতীর্থদের জন্য।
'পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো, যখন আপনি একজন স্ট্রাইকার এবং আপনাকে একটি রক্ষণভাগের বিপরীতে খেলতে হয়, যারা তিন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ও তিন সেন্টার-ব্যাক নিয়ে খেলে। এরকম পরিস্থিতিতে আরও পড়তে হবে আমাদের। তবে এটা (সমাধান করা) কেবল সময়ের ব্যাপার।'
Comments