রোনালদো ও ইব্রাহিমোভিচের মিশ্রণ হালান্ড!

কেভিন ডি ব্রুইন যখন ডান প্রান্ত থেকে ডি-বক্সে ক্রস করলেন তখন বেশ পেছনেই ছিলেন আর্লিং হালান্ড। কিন্তু উড়ে এসে কীভাবে যেন বলে পা লাগিয়ে পাঠিয়ে দিলেন জালে। গতি আর ক্ষিপ্রতার মিশ্রণেই তা সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে তার লম্বা পাও।

কেভিন ডি ব্রুইন যখন ডান প্রান্ত থেকে ডি-বক্সে ক্রস করলেন তখন বেশ পেছনেই ছিলেন আর্লিং হালান্ড। কিন্তু উড়ে এসে কীভাবে যেন বলে পা লাগিয়ে পাঠিয়ে দিলেন জালে। গতি আর ক্ষিপ্রতার মিশ্রণেই তা সম্ভব হয়েছে। একই সঙ্গে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে তার লম্বা পাও।

আগের দিন ম্যানচেস্টার ডার্বিতেও অনন্য হালান্ড। শুধু হ্যাটট্রিক করেই ক্ষান্ত হননি, সতীর্থ ফিল ফোডেনের হ্যাটট্রিকেও রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। তার দুটি গোলের কারিগর তিনিই। তাতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৬-৩ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় ম্যানচেস্টার সিটি।

তবে ম্যাচ শেষে যতো আলোচনা ওই হালান্ডকে নিয়েই। কারণ এ যেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের ক্রিস্তিয়ানোর গতি আর ক্ষিপ্রতা তার মধ্যে। একই সঙ্গে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের লম্বা পায়ের নিখুঁত ফিনিশিং। সময়ের সেরা দুই তারকার সেরা গুণগুলো রয়েছে হালান্ডের মধ্যে।

আর তাকে দারুণ মুগ্ধ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি দুই দলেই খেলা সাবেক গোলরক্ষক পিটার স্মাইকেল। রোনালদো ও ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, 'আপনি যখন হাল্যান্ডের দিকে তাকাবেন, আপনি বিভিন্ন খেলোয়াড়কে দেখতে পান। সে জ্লাতানের মতো গোল করে এবং সেখানে রোনালদোও আছে। আপনি সেরা এবং সেরা স্ট্রাইকারকে দেখতে পাচ্ছেন একজনের মধ্যে। এ কারণেই তিনি এতো বিপজ্জনক।'

হালান্ডের ধৈর্যশক্তির প্রশংসা করেন এ গোলরক্ষক, 'একজন ভালো স্ট্রাইকারের সবচেয়ে বড় অংশ হলো ধৈর্য। আমি কিছু সেরা স্ট্রাইকারের বিপক্ষে খেলেছি। যখন আপনি গোল করতে পারবেন না তখন আপনাকে অনেক বেশি মনোযোগী হতে হবে। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, ফিলিপো ইনজাঘিরা- তারা অদৃশ্য হয়ে থাকলেও হঠাৎ সুযোগ পেয়ে যেত।'

অথচ হালান্ড প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়েছেন চলতি মৌসুমের শুরুতেই। এরমধ্যে ইংলিশ লিগে খেলেছেন ৮টি ম্যাচ। সেখানে গোল করেছেন ১৪টি। হোম ম্যাচের সব শেষ তিনটিতেই করেছেন হ্যাটট্রিক। এ লিগের ইতিহাসে এমনটা হয়েছে এই প্রথম। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোল ১১ ম্যাচে ১৭টি!

Comments

The Daily Star  | English

Love road at Mirpur: A youthful street

Certain neighbourhoods in Dhaka have that one spot where people gather to just sit back and relax. For Mirpur, it’s the frequently discussed street referred to as “Love Road”.

1h ago