‘যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য রাখা চ্যালেঞ্জিং’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখবে।

তিনি বলেন, আমার চ্যালেঞ্জ হলো তিনটি দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন। এগুলো শক্তিশালী দেশ। আমাকে এই তিনটি দেশের সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে যাতে প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কোনো দেশকে উপেক্ষা করতে পারে না এবং ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এছাড়া তাদের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

এছাড়া তিনি মনে করেন ভবিষ্যত বিশ্ব হবে এশিয়ার নেতৃত্বাধীন বিশ্ব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি 'প্রধান শক্তি' এবং বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

তাছাড়া আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছি।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি 'সোনালী অধ্যায়' অতিক্রম করছে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোমেন জি-২০-এর সকল বৈঠক ও শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে, যা ১ ও ২ মার্চ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

মোমেন বলেন, সব বৃহৎ শক্তির সঙ্গে সমানভাবে সুসম্পর্ক রাখা এত সহজ নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন 'মহান ও বাস্তববাদী নেতা' থাকায় বাংলাদেশ এটিকে স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচালনা করতে সৌভাগ্যবান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশের তিনটি প্রধান সম্পদ রয়েছে: মানবসম্পদ, উর্বর জমি ও পানি।

তিনি বলেন, এই তিনটি সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমরা সোনার বাংলার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে মোমেন বলেন, তার উন্নয়ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে মোমেন বলেন, তার উন্নয়ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

6h ago