বিশ্ব হাঁটা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে দুই বাংলার এক সুর
সালটি ছিলো ২০১৪। সে বছর ১১ ফেব্রুয়ারি কলকাতা প্রেসক্লাব থেকে একাই হাঁটা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের জান্নাতুল মাওয়া রুমা নামের এক তরুণী। ‘হেল্প ফর ইউ’ বাংলাদেশের এই সংগঠনের সভানেত্রীও তিনি।
মাত্র নয় দিনের মধ্যে পায়ে হেঁটে ঢাকার প্রেসক্লাবে পৌঁছে গিয়েছিলেন রুমা। দীর্ঘ পথ হেঁটে স্বীকৃতিও কুড়িয়েছিলেন তিনি।
সে বছর থেকে বিশ্ব হাঁটা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আন্দোলনের শুরু। এরপর প্রতি বছর সংগঠনটি বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে জীবনের প্রয়োজনের হাঁটার বিকল্প নেই- এর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে। গণস্বাক্ষর অভিযান থেকে ম্যারাথন দৌড় কর্মসূচী করে চলেছে একের পর এক।
এবার জান্নাতুল মাওয়া রুমার সেই সংগঠন সমর্থন পেয়েছে প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নদীয়া জেলা প্রশাসনের। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই দাবির পক্ষে এক পদযাত্রায় অংশ নেন নদীয়া জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাংলাদেশ থেকে ‘হেল্প ফর ইউ’-এর সভাপতি জান্নাতুল মাওয়া রুমাও অংশ নিয়েছিলেন ওই কর্মসূচীতে।
কৃষ্ণনগর মোড় থেকে ‘পদযাত্রা’-র উদ্বোধন করেন জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা স্বচ্চিতানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রাটি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে শহরের কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন পথযাত্রার সামিল হওয়া বিশিষ্টজনরা।
‘হেল্প ফর ইউ’-এর সভানেত্রী জান্নাতুল মাওয়া রুমা বলেন, “২০১৪ সালের এই দিন অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে ঢাকা প্রেসক্লাব মাত্র নয়দিনে হেঁটে পৌঁছে রেকর্ড করেছিলাম। জীবন সুস্থ রাখতে হলে হাঁটার বিকল্প নেই। কম করে হলেও নিয়মিত হাঁটতে হবে।”
হাঁটার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, “এই হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুললে বহু রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর সে জন্য বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে হবে।”
এই দিনকে বিশ্ব হাঁটা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা।
নদীয়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষা তারান্নুম মীর সুলতানা বলেন, “বাংলাদেশের ‘হেল্প ফর ইউ’-এর দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। আমরাও চাই ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক হাঁটা দিবস হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিক।”
Comments