পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি তরুণী নিখোঁজ
ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ১৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ধানতলা দত্তপুলিয়ায়। পরিবারের অভিযোগ, পাচারের উদ্দেশ্যে তাকে ভারতের নারী পাচারকারীরা তুলে নিয়ে যেতে পারে।
নদীয়া জেলার পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের মাগুরা জেলার বেরুইল গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাবা পিন্টু সিকদারের সাথে স্নায়ু রোগের চিকিৎসার জন্য ভারতের নদীয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া এলাকায় তার পিসির বাড়িতে আসে। সেখানে থেকেই চিকিৎসা হচ্ছিল মেয়েটির।
পরিবারের অভিযোগে, গত ২ মার্চ বিকালে পিসির বাড়ির সামনে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়েটি। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করার পরও কোন সন্ধান পায়নি তার। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাবা পিন্টু সিকদার মাগুরা ফিরে যান।
পিন্টু সিকদার জানান, নদীয়ার এক আত্মীয়ের নম্বরে ভারতের একটি নম্বর থেকে ফোন করেছিল তার মেয়ে। অস্পষ্ট কথা শুনতে পেয়েছেন তারা। তবুও ফোনে যতটুকু কথা হয়েছে তা শুনে মনে হয় অসৎ উদ্দেশ্যে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই মোবাইল নম্বরে অনেকবার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ভারতে ফিরে এসে গতকাল (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নদীয়ার ধানতলা থানায় পিন্টু সিকদার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধানতলা থানার পুলিশ। সন্দেহভাজন ফোন নম্বরের টাওয়ার লোকেশন ধরে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি মেয়েটির সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
Comments