বিব্রতকর রেকর্ড থেকে বাঁচল ইংল্যান্ড
১৯৫৫ সালে এই মার্চ মাসেই অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডকে এক বিব্রতকর রেকর্ডে বন্দি করেছিল ইংল্যান্ড। ইংলিশরা কিউইদের গুটিয়ে দিয়েছিল মাত্র ২৬ রানে। এতবছর পরও যা আজও টেস্টে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। ৬৩ বছর পর সেই অকল্যান্ডেই বিব্রতিকর রেকর্ডটি ইংলিশদের ফিরিয়ে দেওয়ার মুক্ষোম সুযোগ পেয়েছিল তারা। দিবারাত্রির টেস্টে ২৩ রানেই ইংলিশদের ৮ উইকেট ফেলে দিয়েছিল। তবে ইংলিশদের অস্বস্তির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন অলরাউন্ডার ক্রেইগ ওভারটন।
এমনিতেই সুয়্যিংয়ের রাজা ট্রেন্ট বোল্ট-টিম সাউদি। গোলাপি বল সুয়্যিং করে আরও ভালো। টস জিতে বল হাতে পেয়ে অ্যালেস্টার কুক-জো রুটদের নাকের জল-চোখের জল এক করে ছেড়েছেন তারা। ২৩ রানে ৮ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড ওভারটনের ৩৩ রানে করতে পেরেছে ৫৮ রান। ৩২ রানে ৬ উইকেট বোল্টের, ২৫ রানে বাকি চারটি পকেটে ঢুকেছে সাউদির।
ইংল্যান্ডের মাত্র দুই ব্যাটসম্যানই যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কে। ওপেনার স্টোনম্যানের ১১ রানের পর ওই ওভারটনের ৩৩। বাকি সবার রান যেন টেলিফোন ডিজিট। গেল অ্যাশজে অভিষেক হওয়া ওভারটন পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটটা চালাতে জানেন। কিন্তু এদিন যা করলেন তা যেন সেঞ্চুরিরও সমান। দুদিক থেকে স্যুয়িং হচ্ছে এমন পিচে দাঁড়িয়ে গেলেন একাই। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৫ বলে ৩৩, মেরেছেন ৫টি চার আর ১ ছয়। বাকি সবাইকে ফেরালেও তাকে নড়াতে পারেনন বোল্ট-সাউদিরা। ২৭ রানে ৯ উইকেট পড়ার পর জেমস আন্ডারসনকে নিয়ে শেষ উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩১ রানে জুটি গড়েন ওভারটন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৭৫ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। বিব্রতকর রেকর্ডের হাত থেকে রক্ষা না পেলেও অকল্যান্ড টেস্টের লাগাম এখন পুরোটাই কিউইদের হাতে।
Comments