রোনালদোর কারণেই পেনাল্টি শুট আউটে জিতেছে ইংল্যান্ড
নির্ধারিত সময় শেষে যখন খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াল তখনই ধুকধুকানি শুরু হয়ে গিয়েছিল ইংলিশদের। আর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। কারণ এই ইংলিশরা যে আর যাই হোক টাই-ব্রেকারে জেতে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইংল্যান্ডই কোয়ার্টার ফাইনালে। আর তাতেই আলোচনা হঠাৎ ইংলিশরা পেনাল্টি শুট আউটে এতো বদলে গেল কিভাবে?
তবে রাশিয়ার পা রাখার আগ থেকেই খবর, টাই-ব্রেকারে জয়ের জন্য বিশেষ কাজ করছেন গ্যারেথ সাউথগেট। আর করবেনই না কেন? এর আগে মেজর টুর্নামেন্টে সাত বার টাই-ব্রেকারে গিয়ে পেয়েছে মাত্র একটি জয়। আর বিশ্বকাপে তিনবারই হার। এ জুজু কাটাতে শুরু থেকেই সতর্ক সাউথগেট। নিজের অভিজ্ঞটাও ভয়াবহ। খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৯৬ ইউরোর সেমিফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে টাই-ব্রেকারে হারের দিনে নিজেও যে মিস করেছিলেন পেনাল্টি।
সে দায় থেকেই পেনাল্টি নিয়ে হয়তো খুব সিরিয়াস ছিলেন কোচ। এবং সে জুজু কাটিয়ে ইংলিশদের নতুন দিগন্ত দেখালেন সাউথগেট। কিন্তু প্রশ্ন, প্রস্তুতি তো এবারই প্রথম নয়, এর আগেও নিয়েছিল দলটি। তখন হয়নি কিন্তু এবার কেন হলো? তার জবাবটা দিয়েছেন দ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ড্যান অ্যাশওর্থ। পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কারণেই ইংলিশরা পেনাল্টি শুট আউটে জিতেছে বলে জানান তিনি।
কিন্তু তা কি করে সম্ভব? অ্যাশওর্থের জবাব, ‘আমরা নানা ধরনের রিসার্চ করে দেখেছি ইংলিশ খেলোয়াড়রা বাঁশি দেওয়ার পর একটি তাড়াহুড়া করে শট নিতে। যখন রেফারি বাঁশি বাজায় আপনাকে যতটুকু সম্ভব সময় নেওয়া উচিত। জাতিগত ভাবেই আমাদের খুব বেশি তাড়া। অন্যদের দিকে তাকান তারা অনেক সময় নেয়। এখানে মজার কিছু ব্যাপার আছে। এ ক্ষেত্রে রোনালদো হতে পারে ভালো উদাহরণ। তার আত্মনিয়ন্ত্রণ খুবই চমৎকার।’
অনেক দিন থেকেই বিভিন্ন খেলোয়াড়ের নেওয়া পেনাল্টি শট নিয়ে নানার ধরনের অনুসন্ধান চালায় ইংলিশ টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। তাতে রোনালদোর নেওয়া শটগুলোই মনে ধরে তাদের। এ রিয়াল মাদ্রিদ তারকার নেওয়া পেনাল্টি শট ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে ইংলিশরা। তাই হ্যারি কেইন-জেসে লিংগার্ডদের সামনে তাকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছিল এফএ।
Comments